ঢাকা সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩০ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বিভাগসমূহ

নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাসব্যাপি বাণিজ্য মেলার পায়তারা চলছে। সৈয়দপুর নারী উন্নয়ন ফোরামের ব্যানারে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে শহরের ফাইভ স্টার মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে মেলার বিভিন্ন স্টল।
শহরের সচেতন মানুষের প্রশ্ন এ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়। শহরের ছেলে মেয়েরা মাঠে খেলে। মৃত ব্যক্তির জানাযার নামাজ আদায় করা হয় এ মাঠে।
এছাড়াও এ মাঠে শহরের নারী পুরুষরা সকাল সন্ধা ব্যয়াম করে থাকে। মাঠের দশ হাত দুরত্বে একটি মসজিদ। যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়। মাঠের পিছনে প্রায় একশ গজ দুরে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এক শিক্ষক জানান, সামনে পবিত্র ঈদ উল আযহা। মেলার কারণে মাঠটি গভীর গর্ত করা হয়েছে। এতে করে আগত ঈদের নামাজ ওই মাঠে পড়তে পারবে না মুসল্লিরা।
এদিকে চলছে এইচএসসি টেস্ট পরীক্ষা। এরপর হবে এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা। মেলার কারণে পরীক্ষার্থীর লেখাপড়ায় ব্যঘাত ঘটবে।
এক মসজিদের ইমাম বলেন, আজ আমরা আর মানুষ নেই। আমাদের যদি ন্যুন্নতম বিবেক থাকতো তাহলে মুসলমান হয়ে কখনও মসজিদের সামনে মেলার আয়োজন করতাম না।
এদিকে মেলার আয়োজক নারী উন্নয়ন ফোরাম নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে। আসলে ওই সংগঠনের নামে কি করা হয় তাও তদন্তের দাবি করা হয়।
এদিকে সৈয়দপুর সচেতন নাগরিক সমাজ ওই মেলা বন্ধে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এক প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু। বক্তব্য বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদ,সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মোনায়মুল হক,উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সিনিয়র নেতা ও সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন খোকন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিটলার চৌধুরী ভলু, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোতালেব হোসেন হকসহ অনেকে। সভা পরিচালনা করেন কামারপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিকো আহমেদ।
বক্তারা বলেন বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক সমস্যা চলছে। তা সমাধান করতে গোটা বিশ্ব টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন দেশে থেকে আমদানি করছে। এ মুহূর্তে মাসব্যাপী মেলায় যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যুৎ খরচ হবে। যার ফলে শহরে এবং কলকারখানায় বিদ্যুৎতের সমস্যা বেড়ে যাবে। ছিনতাইকারী ও চূরির প্রকোপ বেড়ে যাবে। তাই মেলা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
তারা আরো বলেন, মেলা চালু হলে ব্যবসায়িরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিদ্যুৎ অপচয় হবে। নারী উন্নয়ন ফোরাম তাদের পকেট ভারী করবে। তারা জনগণের পকেট কাটবে। এ সকল দিক বিবেচনা করে মেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা। বক্তারা বলেন
মেলা বন্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
এতেও যদি কোন কাজ না হয় তাহলে সৈয়দপুরের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে মেলা বন্ধ করা হবে বলে হুসিয়ারি দেয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email

সম্পাদক ও প্রকাশক

 

ওয়েবসাইট: www.prothomdesh.com

 

উপদেষ্টা সম্পাদক

%d bloggers like this: