ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিভাগসমূহ
মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে

বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি || ৬:০৬ অপরাহ্ণ ॥ মার্চ ১৯, ২০২৩

পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসে সৃষ্ট সংঘর্ষ নিয়ে জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক হুইপ ও চীফ হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম ফিরোজ এমপিকে নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তীহীন ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ।
রবিবার বেলা সারে ১১ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ:সভাপতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন “বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন কমিটির” আহবায়ক ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক মো. ইব্রাহিম ফারুক। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বগা ডিগ্রি কলেজের সাবেক প্রভাষক মো.ফরিদ উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠানের সভাপতি মোসারেফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭ মার্চ বেলা সোয়া ১১ টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার তার অনুসারীদের সহ একটি শোভাযাত্রা নিয়ে উপজেলা পরিষদ গেটে আসে। ওই সময় উপজেলা গেট থেকে ২০০ মিটার দুরে দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে সমবেত প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে আ.স.ম ফিরোজের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। দুটি শোভাযাত্রা মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের আশংকা করে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন উপজেলা চেয়ারম্যানের শোভাযাত্রাটিকে পরিষদের মধ্যে অবস্থান নেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার পুলিশি বাধা উপক্ষো করে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে তার অনুসারীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও শর্টগানের ২০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান সামনের দিকে এগিয়ে বিএনপির পুরোনো অফিস পর্যন্ত গেলে উভয় গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ওই সংঘর্ষে আবদুল মোতালেব হাওলাদার রক্তাক্ত আহত হন। ওই ঘটনায় “আ.স.ম ফিরোজের সামনে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে” মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট,ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। প্রকাশিত ওই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জাননো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ঘটনাস্থলে আপনারা সাংবাদিক বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সময় আ.স.ম ফিরোজ এমপি মহোদয় দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের গেটে ছিলেন যাহা আপনারা প্রত্যক্ষ করেছেন। একই সাথে বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়। এবং ১৭ মার্চ যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে যারা আহত হয়েছে তাদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা,উপজেলা,পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

সম্পাদক ও প্রকাশক

 

ওয়েবসাইট: www.prothomdesh.com

 

উপদেষ্টা সম্পাদক

%d bloggers like this: