ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিভাগসমূহ

ফুলবাড়িতে এই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে আঙ্গুর ফলের চাষ

উত্তম কুমার মোহন্ত,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: || ১০:৫৫ অপরাহ্ণ ॥ মে ৩১, ২০২৩

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে প্রথম বারের মতো বাণিজ্যিক ভাবে বিদেশি প্রজাতির লাল রঙের আঙ্গুরের চাষ করা হয়েছে।ব্যাপক ফলন হয়েছে গাছে গাছে ঝুলছে লাল টসটসে পাকা আঙ্গুর স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও ভালো দামে খুশি ওই উদ্যোক্তা।

উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা আজোয়া টারী গ্রামে সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে,মোঃ হাসেম আলী নামের এক উদ্যোক্তা তার দুই বিঘা জমিতে বাণিজ্যিক ভাবে বিদেশি নানান প্রজাতির আঙ্গুরের ২০০ থেকে ২৫০টি চারা লাগানোর মধ্য দিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন।উদ্যোক্তা হাসেম আলী জানান আমার বন্ধু ব্যাংক কর্মকর্তা রুহুল আমিন ইউটিউবের মাধ্যমে আঙ্গুর চাষের পদ্ধতি জেনে আমাকে উদ্যেমী করে এবং তার সহযোগিতায় ইউক্রেন ও রাশিয়া সহ-বিভিন্ন দেশের নানান
প্রজাতির যেমন,বাইকুনর একেলো ,গ্রীনলং এন্জেলিকা সহ প্রায় ৩০প্রজাতির উন্নত জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে দুই বছর আগে প্রায় দুই বিঘা জমিতে বড়বড় টপের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ শুরু করি।এরমধ্যে গত বছর কয়েকটি গাছে আঙ্গুর আসায় আমার মনে কিছুটা বিশ্বাস জন্মায়, তখন মনে মনে ভাবি আমার স্বপ্ন বুঝি পূরণ হতে চলছে। এবছরে প্রায় ৪০-৫০টি গাছে থোকায় থোকায় আঙ্গুরে ভরে গেছে। ৩০০ শত টাকা কেজি দরে দেড় মন আঙ্গুর বিক্রি করেছি আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই আরো দেড় থেকে দুই মন বিক্রি করতে পারব।

হাসেম আলী আরো জানান,এপর্যন্ত আঙ্গুর চাষে সর্বমোট মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২লক্ষ টাকা। দেড় মন আঙ্গুর ও চারা বিক্রয় করে ৫ লক্ষ টাকা এযাবৎ এসেছে।এক একটি আঙ্গুর চারা ৩০০ থেকে ১,৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। ধারণা করছি আগামীতে সবগুলো গাছে আঙ্গুর আসলে উপজেলা সহ জেলা শহরের বিভিন্ন হাট বাজারে এর সম্পুর্ন চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে আমার বিশ্বাস।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য মোঃ রেজাউল ইসলাম ও স্থানীয় জব্বার আলী জানান,লাল রঙের আঙ্গুর ফলের চাষ করে উপজেলা সহ জেলা পর্যন্ত ব্যাপক চমক সৃষ্টি করেছে।অবাক ব্যাপার হচ্ছে আমাদের এখানকার মাটিতে এত সুন্দর সুমিষ্ট আঙ্গুর ফলের চাষ হবে এটা আশ্চর্যের বিষয়।আমারা বাগান মালিক হাসেম আলীকে ধন্যবাদ জানাই এবং তার সফলতা কামনা করছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ নীলুফা ইয়াছমিন জানান,কৃষি উদ্যোক্তা হাসেম আলী আবাদি জমিতে আঙ্গুর ফলের চাষাবাদ করে উপজেলা সহ জেলায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। আবাদি জমি হলেও বেলে দোআঁশ মাটি হত্তয়ায় আঙ্গুরের ফলন সুন্দর হয়েছে এবং সুমিষ্ট ও হয়েছে।এই প্রথম ফুলবাড়ী উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর ফলের চাষাবাদ করায় অনেকেই ছুটছেন ওই উদ্যোক্তার কাছে।কেউবা তার বাগান থেকে আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করছেন জেনে নিচ্ছেন কিভাবে চাষাবাদ করে তার পদ্ধতিও হাসেম আলীর আঙ্গুর বাগান দেখে উপজেলায় অনেকেই আঙ্গুর চাষাবাদের দিকে উদ্যোগী হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

সম্পাদক ও প্রকাশক

 

ওয়েবসাইট: www.prothomdesh.com

 

উপদেষ্টা সম্পাদক

%d bloggers like this: