ঢাকা মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি

বিভাগসমূহ

দৌলতপুরে পদ্মা থেকে বালি উত্তোলনে হুমকির মুখে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ || ৭:০২ অপরাহ্ণ ॥ ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের উৎসবে মেতেছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে পদ্মার তীরে সরকারের শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর কামার পাড়ার নিচে চলছে পদ্মা থেকে অবৈধভাবে এই বালি উত্তোলন। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে জন-সাধারনের মনে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, ফিলিপনগর গ্রামের সোহেল রানা ওরুফে রসুন রানা, মাহাবুব মাষ্টার, আঃ রশিদ, সাবেক মেম্বার কালাম, শিপন সহ ক্ষমতাশীল দলের স্থানীয় নেতারা মিলেমিশে পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক থেকে দেড়শ ট্রলি বালি উত্তোলন করছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এই অবৈধ বালি উত্তোলনের সাথে যারা জড়িত তারা এতটাই প্রভাবশালী যে, বাধা প্রদান বা প্রতিবাদ করার মত সাহস কারো নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী ক্ষমতাশীল দলের নেতা মাহাবুব মাষ্টার ও সোহেল রানা ওরুফে রসুন রানা পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের মুল হোতা বলে জানান তারা।
এব্যাপারে ক্ষমতাশীল দলের ঐ এলাকার স্থানীয় নেতা মাহাবুব মাষ্টারের সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন রসুন রানা জড়িত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ব্যাপারে সোহেল রানা ওরুফে রসুন রানার সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার তার সেল ফোনে কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান ফিলিপনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাঈম উদ্দিন সেন্টু বালি উত্তোলনের বিষয়টি সত্য বলে জানান। তবে কে বা কারা কোন ক্ষমতার জোরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল জব্বার বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলনা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

সম্পাদক ও প্রকাশক

 

ওয়েবসাইট: www.prothomdesh.com

 

উপদেষ্টা সম্পাদক

%d bloggers like this: