নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে চিকিৎসকদের প্রাইভেট রোগী দেখা। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নির্ধারিত চিকিৎসা ফি গ্রহণ করে চিকিৎসকরা রোগী দেখেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই সেবাদানের নামকরণ করেছে “বৈকালিক প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্য সেবা”। শুক্রবার ও সরকারী বিশেষ ছুটির দিন ব্যতিত সপ্তাহের ৬ দিন সরকারী চিকিৎসকরা নিয়মিত রোগী দেখবেন। বিশেষজ্ঞ (কনসালটেন্ট) চিকিৎসক ৩০০ টাকা ও সাধারণ (মেডিকেল অফিসার) চিকিৎসক ২০০ টাকা ফি নিয়ে এই চিকিৎসা সেবা দিবেন। ২ জন বিশেষজ্ঞ সহ মোট ১৫ জন চিকিৎসক নিয়মিত এ সেবা প্রদান করবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খুরশিদ আলম জানান, গতকালই অধিদপ্তরের নির্দেশনা পেয়েছি এবং তড়িঘড়ি করে সেবা কার্যক্রম শুরু করেছি। পরিপূর্ণ রুপে শুরু করতে কয়েকটা দিন সময় লাগবে। তিনি আরও জানান, ১ জন গাইনী, ১ জন এনেসথেসিয়া কনসালটেন্ট এবং ১৩ জন জেনারেল চিকিৎসক সিডিউল মোতাবেক নিয়মিত রোগী দেখবেন। প্রত্যেক চিকিৎসকের জন্য স্ব স্ব নাম, যোগ্যতা, পদবী ও চেম্বারের ঠিকানা উল্লেখ করে ব্যক্তিগত প্রেসক্রিপশন প্যাড তৈরি করা হয়েছে। ডায়াগনস্টিক সেবাও দ্রæত চালু করা হবে যাতে রোগীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রেই বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে পারে।
উপজেলার নগর মানগাছা গ্রামের গৃহবধূ প্রিয়াংকা জানান, হাসপাতালের ওয়ালে ডাক্তারদের নামের লিস্ট দেখে গাইনী বিশেষজ্ঞ জেবুন্নেছা এ্যানীর কাছে চিকিৎসা নিতে এসেছি। প্রায় ৩৫ মিনিট তিনি আমার চিকিৎসার জন্য সময় দিয়েছেন। এতে আমি অনেক বেশী সন্তুষ্ট। বাইরের কোন প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গেলে এর তিনগুণ টাকা খরচ হতো। ঠিক একই ধরণের মন্তব্য করেছেন বৈকালিক প্রাতিষ্ঠানিক বহিঃর্বিভাগে অপেক্ষামাণ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীরা।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, সাধারণ জনগণ যেনো হাতের মুঠোয় উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা পায় এবং পাশাপাশি সরকারী চিকিৎসকরা যাতে সরকারী হাসপাতাল ছেড়ে অনত্র প্রাইভেট প্রাক্টিস বন্ধ করে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহন করেন। ‘বৈকালিক প্রাতিষ্ঠানিক স্বাস্থ্য সেবা’ একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ যা সরকারী হাসপাতালকে আরও চিকিৎসা বান্ধব ও জনগনের জন্য আরও জনবান্ধব করে তুলবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।