নীলফামারীর ছোট বড় আম গাছগুলো ভরে গেছে মুকুলে। শোভা মন্ডিত এখন জেলার আম গাছগুলো। কোন কোন গাছে এতো বেশী পরিমান মুকুল ধরেছে যা কল্পনাতিত। হলুদ রঙের আমের মুকুল থেকে ছড়াচ্ছে সুগন্ধি ঘ্রাণ। মৌমাছি মুকুলে বসে কখনও আবার ছুটাছুটি করে গুণগুণ শব্দে। মৌমাছির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার পাখিও বসছে মুকুলের ওপর। এমন দৃশ্য নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায়।
থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালপালা। গাছে মুকুলের সঙ্গে গুটি আমের দেখাও মিলছে। আম চাষিরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দর খাতা গ্রামের বাসিন্দা আলম হোসেন, নাউতারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিন্টুু ও সদর ইউনিয়নের কুঠিপাড়া সাহেব আলীর সাথে কথা বললে তারা জানান, আম গাছে অধিকাংশ মুকুল ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ তিতপাড়ার বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম সফি জানান, আম গাছে এবার আগাম মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক ওষুধ প্রয়োগসহ গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী জানান,ডিমলা উপজেলার পাড়ায় গাছে গাছে এখন প্রচুর আমের মুকুল।
আমগাছ তার মুকুল দিয়ে হলদে রঙ ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজ¯্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছে চাষীরা। তারা বলছেন, প্রাকৃতিক কারণেই এবার আগাম আম গাছে মুকুল এসেছে। পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে আমের উৎপাদন বাড়ছে।