সুনামগঞ্জে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা

যৌতুকের টাকার জন্য প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর মামলা দায়ের। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের মাটিয়াপুর গ্রামে।

এ ঘটনায় জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের টাইলা গ্রামের মো. সমুজ আলীর বিবাহিত মেয়ে মোছা. রেশমা বেগম বাদি হয়ে গত ২৬ জানুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখে তার যৌতুকলোভী স্বামী দিরাই উপজেলার কমিরপুর ইউপির মাটিয়াপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. বুরহান উদ্দিনকে আসামী করে আমলগ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শান্তিগঞ্জ জোনে যৌতুক নিরুদ আইনের ৩ ধারায় এই মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১৩/২০২৩, তারিখ-২৬/০১/২০২৩ ইং।
এ ঘটনায় আগামী ২৬ ফেব্রæয়ারী যৌতুক আইনের ৩ ধারায় সমন জারির নির্দেশ প্রদান করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২২ সালের ৫ জুন তারিখে মুসলিম শরিয়তের বিধান মোতাবেক উভয়পক্ষের পরিবারের সম্মতিতে রেজিষ্ট্রার্ড নিকাহনামা মূলে বিয়েতে দুই লাখ টাকার জিনিসপত্র বুরহান উদ্দিনের সাথে মোছাঃ রেশমা বেগম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ে পর থেকে চলে যৌতুকের টাকার জন্য অমানসিক নির্যাতন। বিয়ের পাচঁ মাসের মধ্যেই যৌতুকলোভী স্বামী বুরহান উদ্দিন তার মা রেনু বেগম মিলে ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর স্বামী বুরহান উদ্দিনের ভাইকে ইটালী পাঠাবে বলে রেশমা বেগমকে তার পিতার বাড়ি হতে যৌতুক বাবত দুইলাখ টাকা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। রেশমা তার পিতার অভাব অনটনের সংসারের কথা ভেবে টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী ও শাশুড়ি রেনু বেগম মিলে তার উপর চালানোর হয় শারীরিক অত্যাচার ও নির্যাতনের ষ্টিমরোলার। পরে মামলার বাদিকে এক কাপড়ে স্বামীর গৃহ থেকে বের করে দেয়া হয় বলে তিনি অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। পরে আসামী বুরহান স্ত্রী রেশমার বাবার বাড়ি টাইলা গ্রামে গিয়ে যৌতুকের দুইলাখ টাাক দিতে তার শশুড় সমুজ আলীকে চাপ প্রয়োগ করলে শশুড় দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় বুরহান প্রাণনাশের হুমকিসহ রেশমাকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি দিয়ে চলে আসেন।
এ ব্যাপারে মামলার আসামী যৌতুকলোভী স্বামী মো. বুরহান উদ্দিনের সাথে যোগযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন,আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে ইটালীতে থাকেন আমি যৌতুকের টাকার জন্য কোনদিন চাপ প্রয়োগ ও করিনি।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি খালেদ চৌধুরী জানান,মামলার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *