চট্টগ্রামে পানিবন্দি ৫ লাখের বেশি মানুষ

টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে চট্টগ্রামে ৪টি উপজেলায় সৃষ্ট বন্যায় ৫ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জেলার ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারী এবং সীতাকুণ্ড উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ায় চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফটিকছড়ি উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়ন, হাটহাজারী উপজেলার ৪ ইউনিয়ন, রাউজানের ৪ ইউনিয়ন, রাঙ্গুনিয়ার ৩টি ইউনিয়ন এবং সীতাকুণ্ডের ৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়াও গত দুই দিন ধরে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় আরও পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল গ্রামের বাসিন্দা মঈনুদ্দিন চৌধুরী জানান, আমাদের পুরো সুয়াবিল ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে ডুবে গেছে। অধিকাংশ বাড়িঘরের ভেতর পানি ঢুকে পড়েছে। রাস্তাঘাট, হাটবাজার পুরোপুরি বন্ধ। পুরো ফটিকছড়িতে বিদ্যুৎ নেই বুধবার রাত থেকে। উপজেলার হারুয়ালছড়ি এলাকা থেকেও একই ধরনের তথ্য দিয়েছেন স্থানীয়রা।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রহিমা আক্তার জানান, আমাদের উপজেলার অন্তত ৪টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়েছে। উপজেলার মরিয়ম নগর, চন্দ্রঘোনা, পারুয়া, পোমরা এলাকায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও জানান, পুরো রাঙ্গুনিয়া উপজেলা কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ার আশঙ্কায় রয়েছে। কাপ্তাই বাঁধ খুলে দেওয়া হলে পুরো রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারী পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে কর্ণফুলী নদী, হালদা নদীতে পানি ও স্রোত ভয়াবহ রকম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধ্বসের সম্ভাবনা রয়েছে।

চট্টগ্রামে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১৪১ দশমিক ৮ মিলিমিটার। এছাড়া সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে তিন ঘণ্টায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *