বিসিএস নিয়ে তাহসানের নামে ছড়ানো খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা: প্রিন্স মাহমুদ

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আবেদ আলী গ্রেপ্তারের পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে নানা ধরণের তথ্য ছড়িয়েছে। এর মধ্যেই সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসানের মাকে জড়িয়েও তথ্য ছড়াতে শুরু করেছে। ড. জিনাতুন নেসা কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের মা। দাবি করা হচ্ছে, তারই গাড়িচালক ছিলেন আবেদ আলী। এসব বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোয় প্রতিবাদ জানিয়েছেন গীতিকবি ও সুরস্রষ্টা প্রিন্স মাহমুদ।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে নিজের ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করেছেন প্রিন্স মাহমুদ। এতে তিনি লিখেন, ‘তাহসানের নামে ছড়ানো খবরটি একেবারেই মিথ্যা, সম্পূর্ণ মিথ্যা। নজর অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যই এসব খবর ছড়ানো হচ্ছে। ছোটবেলা থেকে দেখেছি, তাহসানের বাবা-মা দুইজনই অত্যন্ত সৎ মানুষ। সাধারণ সরকারি কর্মকর্তাদের বাচ্চাদের মতো বড় হয়েছে তাহসান। কোনরকম বিলাসিতা দেখিনি। তাহসানের যা অর্জন, সমস্তটাই গানের জন্য। যা হোক, প্রকৃত অসৎদেরকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। এসবের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

তাহসান খানের মা জিনাতুন নেসা প্রসঙ্গে প্রিন্স মাহমুদ লিখেন, ‘তাহসানের আম্মা জিনাতুননেসা ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। আর প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে ২০১২ থেকে, মানে গত একযুগ বা ১২ বছর। তার গাড়ি চালাতো বলেই সে অপরাধী, বিষয়টা কিন্তু এমন নয়। তিনি দায়িত্বে থাকাকালে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল কি না বা প্রশ্নফাঁসের সময় থেকে তিনি কোনো দায়িত্বে ছিলেন কি না বা জড়িত ছিলেন কি না, সেটা আগে জানতে হবে। তারপর আশা করি আমরা তাকে দোষারোপ করব, যদি তিনি অপরাধী হন বা তার কোনো দায় থাকে।

জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পিএসিতে গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন আবেদ আলী। ২০১৪ সালের এপ্রিলে সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার পদের লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি চাকরি হারান। ২০১২ সালের শেষ দিকে পিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়িচালক হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। ওই সময় পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী। ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও সাবেক ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ইকরাম আহমেদ। তিনি ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সময়ই চাকরি থেকে বরখাস্ত হন আবেদ আলী।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *