ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মিশনে রাতে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস

দীর্ঘ ৩৬ বছরের সেই অপেক্ষায় আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হতে যাওয়া সেমিফাইনালে ডাচদের অগ্রযাত্রা থামিয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলার স্বপ্নে বিভোর ইংলিশরা। এই ইউরোতে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনাই হচ্ছে বেশি। এখনো সেরা ছন্দে দেখা দিতে না পারা দলটিকে নিয়ে অবশ্য যথারীতি উচ্চকণ্ঠ কোচ সাউথগেট।

এই সেমিফাইনালের আগে অবশ্য বড় কিছুর লক্ষ্যে অবিচল ডাচরাও। ২০ বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে যাওয়া দলটির চূড়ান্ত সাফল্যের ইতিহাসও আছে। তবে সেটি এখন দূর অতীতই। সেই ১৯৮৮ সালে রুদ খুলিত ও মার্কো ফন বাস্তেনদের হাত ধরে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরার পর থেকেই ডাচদের অপেক্ষা আর ফুরাচ্ছেই না।

শিরোপা লড়াইয়ে গৌরবের মঞ্চ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দাঁড়িয়ে দুই দলই। তাদের মধ্যে সেই মঞ্চে গিয়ে হৃদয় ভাঙার শব্দ শোনার টাটকা অভিজ্ঞতাটি ইংল্যান্ডেরই। গত ইউরোর ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হারের বিষাদ ভুলে আরেকবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরার মিশনে আজ ডর্টমুন্ডে তাদের সামনে নেদারল্যান্ডস। ২০২০ সালে ওয়েম্বলিতে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় বিলীন গ্যারেথ সাউথগেটের দলের সামনে এখন বিদেশের মাটিতে প্রথম কোনো বড় আসরের ফাইনাল খেলার হাতছানিও।

ইংলিশ কোচ সাউথগেটের পক্ষে আছে পরিসংখ্যানও, ‘(বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে) সর্বশেষ চারটি টুর্নামেন্টের তিনটিরই সেমিফাইনালে আমরা। আশা করছি, আমরা ভক্তদের দারুণ স্মৃতিই উপহার দিয়ে যেতে থাকব। আমরা লড়ে যাব এবং এই ভ্রমণটি উপভোগ করে যেতে থাকব।’ আজ ডাচদের হারাতে পারলে বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে তৃতীয় ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড। ডাচদের তবু তাদের ইতিহাসের সেরা সাফল্যটি ৩৬ বছর পেছনের।

ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে তা আরো ২২ বছর আগের। ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের একমাত্র বড় শিরোপাটি জিতেছিল ইংলিশরা। এবার আরেকটি শিরোপার মঞ্চে গিয়ে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে অবশ্য যাত্রাটা মোটেও মসৃণ ছিল না তাদের। প্রথম পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ জেতে তারা। অন্য দুই ম্যাচ কোনোমতে ড্র করে গ্রুপসেরা হয়েই অবশ্য নক আউট পর্বে জায়গা করে নেয়। এরপর শেষ ষোলোয় অতিরিক্ত সময়ের গোলে স্লোভাকিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে। সেখান থেকে সেমিফাইনালে পৌঁছাতেও ঘাম ঝরাতে হয় যথেষ্ট। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করার পর টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানের জয় হ্যারি কেইনদের নিয়ে এসেছে শেষ চারে। শিরোপা লড়াইয়ের গৌরবের মঞ্চ অবশ্য তাদেরই শুধু নয়, হাতছানি দিচ্ছে ডাচদেরও।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *