পঞ্চগড়ে তিন চা কারখানা ও দুই প্রতিষ্ঠানকে চার লাখ টাকা জরিমানা

পঞ্চগড়ে চা ব্যবসার বৈধ লাইসেন্স না থাকা, অনুমোদনহীন ট্রেড মার্ক ও মূসক চালান ব্যবহার, ভ্যাট ফাঁকি এবং কালোবাজার থেকে চা ক্রয়ের অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত সোমবার অভিযান পরিচালনা করে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মীরপুরি চা নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা ও মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ রুহুল আমীন। এর আগে চা আইন লঙ্ঘনসহ কাঁচা চা পাতার যথাযথ মূল্য পরিশোধ না করায় তিনটি চা কারখানাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ চা ব্যবসা বন্ধ, চা ব্যবসায় নানা অনিয়ম এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় চা বোর্ডের লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা করাসহ কালোবাজার থেকে চা কিনে সরকারের বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ও ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও সব চা ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নিয়ে ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ করে বৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়। এ সময় বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমির হোসেন, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সায়েদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত রোববার চা আইন লঙ্ঘনসহ কাঁচা চা পাতার যথাযথমূল্য পরিশোধ না করায় পঞ্চগড়ে তিন চা কারখানাকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন চা বোর্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত। জরিমানা করা চা কারখানাগুলো হলো পঞ্চগড় সদর উপজেলার উত্তরা গ্রিন টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, মৈত্রী টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও নর্থ বেঙ্গল সেন্ট্রাল টি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। প্রতিটি কারখানাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *