পঞ্চগড়ে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মামা-ভাগিনাসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার রাতে দেবীগঞ্জ এলাকার লক্ষীরহাটে সড়ক দূর্ঘটনায় ২ জন ও সদর উপজেলায় বোর্ড বাজার এলাকায় একজন মারা যান। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সবুজ রায় শান্ত (১৮), দিপু রায় আপন (১৭) এবং আজহারুল ইসলাম (২৮)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার রাত দেড়টার দিকে দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নে একটি বিয়ের দাওয়াত খেয়ে একটি মোটরসাইকেলে করে নিজ বাড়িতে ফিরছিল সবুজ রায়, দিপু রায় ও অজিত রায়। বোদা-দেবীগঞ্জ মহাসড়কের লক্ষীরহাট বাজারের গ্রামীণফোন টাওয়ারের দিকে মোটরসাইকেলে মোড় ঘুরানোর সময় পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়া একটি পাথর বোঝাই ট্রাক তাদের চাপা দেয়। রাস্তায় তাদের পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ কল দিয়ে সাহায্য চাইলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে থেকে সবুজ রায় ও দিপু রায়ের মরদেহ উদ্ধার করে এবং গুরুত্বর আহত অবস্থায় অজিত রায়কে প্রথমে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহতদের মধ্যে সবুজ রায় শান্ত একই উপজেলার সুন্দরদীঘি ইউনিয়নের শিবের হাট গ্রামের রিপন কুমার রায়ের ছেলে এবং দিপু রায় আপন দেবীডুবা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের দেবেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে। তারা দু’জনে মামা-ভাগিনা।
এদিকে রোববার রাতে পঞ্চগড় সদরের পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কে চলাচলরত একটি ইজিবাইকের যাত্রী ছিলেন আজহারুল ইসলাম। ইজিবাইকটি বোর্ড বাজার এলাকায় পৌছলে পেছনে থেকে পঞ্চগড়গামী একটি ট্রাক সজোরে হর্ণ দিলে ভয়ে রাস্তায় লাফিয়ে পড়েন তিনি। এতে চলন্ত ট্রাকে চাপা পড়ে গুরুত্বর আহত হলে দ্রæত উদ্ধার করে প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার সকালে মারা যায় তিনি। নিহত আজহারুল ইসলাম পঞ্চগড় সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের বোদাপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দীনের ছেলে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা ও দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম পৃথক দুই স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।