দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে প্রার্থী যারা

আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনের প্রায় সাড়ে ৫ মাস বাকী। তবে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছোট ছোট দলগুলো সরব থাকলেও নিরব রয়েছে বিএনপি। নীলফামারী-৪, সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ আসন। এ আসনটি আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি থেকে অতিতে সাংসদ ছিল। তবে বেশির ভাগ সময়ে এ আসনটি ছিল জাতীয় পার্টির দখলে। বর্তমানেও এ আসনের সাংসদ জাতীয় পার্টির আহসান আদেলুর রহমান আদেল।
বর্তমানে এ আসনে ভোটারদের মুখে মুখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলমান। এ আসনে আ.লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টিসহ বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকলেও নির্বাচন কেন্দ্রিক তৎপরতা শুরু করেছেন শুধু আ.লীগ ও ছোট ছোট দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত না আসায় প্রচারে মাঠে না থাকলেও কৌশলে বিএনপি সংগঠিত করছে নেতাকর্মীদের। অপরপাশে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনীতির বিভক্তি সিদ্ধান্তহীনতায় ফেলেছে ২য় পাতা স্থানীয় নেতৃত্বে। ফলে এখনো তারা আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী তৎপরতা থেকে দূরে রয়েছে। তবে জিএম কাদেরের মুখে ৩শ আসনে প্রার্থী নির্ধারণের কথা আসলেও তা সঠিক নয় বলে জানালেন জাপার এক নেতা। তাছাড়া জাপার রওশন এরশাদ ও বিদিশা পন্থী নেতারাও নির্বাচনী পোস্টারিং করছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী বিষয় নিয়ে কথা হয় আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মীর সাথে। এ থেকে জানা যায়, শুধু সৈয়দপুরে আ’লীগেরই মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন একাধিক নেতা। তারা হলেন সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, আওয়ামীলীগের অন্যতম সিনিয়র নেতা শহীদ পরিবারের সন্তান ও সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সাখাওয়াত হোসেন খোকন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন তালুকদার, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ আবুল কালাম বারী পাইলট।
বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির অন্যতম নেতা এ্যাডঃ এস এম ওবায়দুর রহমান, ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে বিলকিস ইসলাম মনোনয়ন প্রত্যাশী।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের আপন ভাগ্নে বর্তমান সাংসদ আহসান আদেলুর রহমান আদেল। একক প্রার্থী হিসাবে রয়েছেন। এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম মাস্টার। বাংলাদেশ লেবার পার্টি থেকে নীলফামারী জেলা সভাপতি ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম ওয়াসিম। জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হাফেজ নুরুল হুদা, জামাতে ইসলামীর হাফেজ মোস্তাকিম মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এ আসনে নির্বাচনী ইতিহাস থেকে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর প্রথম পার্লামেন্ট মেম্বার ছিলেন মরহুম আলীম উদ্দিন (আওয়ামীলীগ)। মরহুম মজিবর রহমান (বিএনপি), মরহুম রওশন আলী দুলু মিয়া (জাতীয় পার্টি), কাজী ফারুক কাদের (জাতীয় পার্টি), অধ্যাপক আব্দুল হাফিজ (ন্যাপ), মরহুম ড. আসাদুর রহমান (জাতীয় পার্টি) মরহুম আমজাদ হোসেন সরকার (বিএনপি), মরহুম এ.এ.এম কর্ণেল মারুফ সাকলান (আওয়ামী লীগ), শওকত চৌধুরী (জাতীয় পার্টি) ও আহসান আদেলুর রহমান আদেল (জাতীয় পার্টি)। এ আসনে বেশী সময় জাতীয় পার্টির সাংসদ নির্বাচিত হন। সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, এ উপজেলায় পৌরসভাসহ মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১৬ হাজার ২৭। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৮ হাজার ৫শ ৬৫, মহিলা ১ লাখ ৭ হাজার ৬২ এবং হিজরা ভোটার ৪। পৌরসভায় মোট ভোটার ১ লাখ ৩শ ৯৬ জন। এদিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার। সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ নির্বাচনী আসনে মোট ভোটার সংখ্যা নারী পুরুষ মিলে ৬ লাখ ২৬ হাজার ২৭ জন।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *