শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘জিন এক্সপার্ট মেশিন’ চালু
আতাউর রহমান কাজল, শ্রীমঙ্গল || ১১:২৬ অপরাহ্ণ ॥ জুলাই ৭, ২০২৩
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শ্রীমঙ্গল উপজেলা ৫০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুনরায় চালু হলো ‘জিন এক্সপার্ট মেশিন’। এলইডি মাইক্রোস্কোপ মেশিনের চেয়ে অটোমেটেড জিন এক্সপার্ট মেশিনে অধিক নিভর্‚লভাবে রিপোর্টিং করা যায় এই মেশিনে।
শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তাপস দেব জানান, ২০১৪ সালে বাংলাদেশের প্রথম উপজেলা হিসাবে শ্রীমঙ্গল উপজেলায় জিন এক্সপার্ট মেশিন চালু করা হয়। চা বাগান অধ্যুষিত এ উপজেলার মানুষের যক্ষা রোগ নির্নয়ে জিন এক্সপার্ট মেশিন চালু করা হয়েছিল। ২০২০ সালে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী জানান, পরবর্তীতে এ মেশিনের মডিউল নস্ট হয়ে যাওয়ায় এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্বের এ মেশিন উৎপাদনকারি একমাত্র প্রতিষ্ঠান সাউথ আফ্রিকার সেফেইড কোম্পানী থেকে মডিউল সংগ্রহ করার পর পুনরায় গত ৪ জুন জিন এক্সপার্ট মেশিনটি চালু করা হয়।
হাসপাতাল সুত্র জানায়, জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে শুধু য²া রোগীই সনাক্ত করা হয় না। সাথে সাথে এই য²া রোগীটি ঔষধ প্রতিরোধী (গউজ) য²া কিনা তাও নিশ্চিত হওয়া যায়। যার ফলে একজন রোগীকে চিকিৎসা করা সহজ হয়। এই মেশিন দিয়ে একসাথে চারটা পরীক্ষা করা যায়। সময় লাগে দুই ঘন্টা। তাই দিনে কমপক্ষে ১২ জনের পরীক্ষা করা সম্ভব। জিন এক্সপার্ট চঈজ মেকানিজম হওয়াতে তার সেন্সিটিভিটি ৯৫% এর উপরে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী যারা পূর্বে য²া রোগী ছিলেন তাদেরকে অবশ্যই জিন এক্সপার্টের মাধ্যমে কফ পরীক্ষা করাতে হবে। ঔষধ প্রতিরোধী (গউজ) য²া রোগ সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক এবং এটি কে নিয়ন্ত্রণ করতে জিন এক্সপার্টের মাধ্যমে কফ পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা পর্যায়ে জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে এখন কফ এর পরীক্ষার পাশাপাশি ঝঃড়ড়ষ, ঈঝঋ, চষবঁৎধষ ভষঁরফ, অংপরঃরপ ভষঁরফ এর পরীক্ষা করা হবে। এটি ফুসফুসের য²ার পাশাপাশি ফুসফুস বহিভর্‚ত য²া রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে।
তাপস দেব আরো জানান, এ পরীক্ষাটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সারা পৃথিবীতে একটি মাত্র কোম্পানি জিন এক্সপার্ট মেশিনের কার্টিজ তৈরি করে। একটি কার্টিজের দাম প্রায় ১২ ডলার অর্থাৎ আনুমানিক ২ হাজার টাকার মতো। বর্তমান সরকার বিনামুল্যে এ পরিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষা রোগ প্রতি লাখে ৫ এর কোটায় নামিয়ে আনার লক্ষ্যে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাজ করে যাচ্ছে।