পাইকগাছার গড়ইখালীর ভাঙ্গন কবলিত খুদখালী এলাকায় বিকল্প প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ
|| ৯:২২ অপরাহ্ণ ॥ জুন ১০, ২০২৩
খুলনার পাইকগাছার সুন্দরবন সংলগ্ন গড়ইখালীর খুদখালীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ভেঙ্গে যে কোন মুহূর্তে পাইকগাছা ও কয়রা উপজলার ৫টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে এমন আশঙ্কায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় বিকল্প প্রতিরক্ষাবঁাধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনের দিক নির্দশনায় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সহযাগিতায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিরক্ষাবঁাধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে।
জেলার পাইকগাছা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গড়ইখালী ইউনিয়নের কুমখালীর খুদখালী এলাকায় ওয়াপদার বেড়িবঁাধ স্বাধীনতার পূর্বে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গন রোধে সে সময় স্থায়ী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় প্রতিবছর ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। যে কোন দুর্যোগ কিংবা ভরাপূর্ণিমার সময় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকে এলাকার মানুষজন।
ইতিমধ্যে ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় প্রাথমিক কাজ শুরু করলেও ভাঙ্গনে চরম ঝুঁকি দেখা দিয়েছে খুদখালী এলাকার মিজানুর রহমানের বাড়ী হতে সিরাজুলের বাড়ী পর্যন্ত। ১৭৫ মিটার ওয়াপদার বেড়িবঁাধ, পুরাতন বেড়িবঁাধের বেশিরভাগ অংশ ইতিমধ্যে ভাঙ্গনে শিবসা নদীতে ভেসে গিয়েছে। ফলে গোনের সময় নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পেলে যে কোন মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ভেঙ্গে গেলে পোল্ডার অভ্যন্তরে পানি ঢুকে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুস সালাম কেরু জানান, ভরা আমাবস্যা-পুর্ণিমা আসলেই নদীতে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি পায়। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ভেঙ্গে গেলে পাইকগাছা উপজেলার গড়ইখালী, চঁাদখালী, লস্কর এবং কয়রা উপজেলার আমাদী ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষদের অবহিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বিকল্প প্রতিরক্ষা বঁাধ নির্মাণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আরশাদ কর্পোরেশন এর সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ তদারকি করছে। স্কেভেটর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে শনিবার সকাল থেকে বিকল্প প্রতিরক্ষা বঁাধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে ওয়াপদার নীচে সরকারি খাস জমিতে বসবাসরত অনেকই নির্মাণ কাজে বঁাধা দিচ্ছেন বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকোশলী আরাফাত জাহান, আওয়ামী লীগনেতা আব্দুস সাত্তার, আবুল কালাম, আব্দুল মজিদ গাইন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আবু তাহের।