বাগেরহাটের রামপালে চোর সন্দেহে এক কিশোর আটককে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিটে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আহতদের রামপাল ও খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, উপজেলার কৈগরদাসকাটি গ্রামের আক্তার শেখ (৫০), মো. নাসির দাই (৬০), মো. ফয়সাল (১২), হাসান শেখ (৩২), মো. মহিদ শেখ (২৫), আমিরুন বেগম (৩০), পারুল বেগম (৪৫) ও ময়না বেগম (৩৬)।
পু্লিশ অভিযান চালিয়ে আত্মসমার্পণকৃত সুন্দরবনের আব্বাস বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ও রাজনগর ইউপি সদস্য ওলি ইজারদার (৪২), প্রসাদনগর গ্রামের হুমায়ুন মোল্যার পুত্র মেশকাত মোল্লা (৩০), বর্ণি গ্রামের আ. হামিদ শেখের পুত্র মো. রোকন উদ্দিন শেখ (৪৫), কাষ্টবাড়িয়া গ্রামের মাহাজিব শেখের পুত্র সোহেল পারভেজ বাবু (৩১), কালিকাপ্রসাদ গ্রামের শওকাত ইজারদারের পুত্র মো. হোসেন ইজারদার(২৪), প্রসাদনগর গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র মো. রনি ইজারদার(২৮), খামঘাটা চিত্রা গ্রামের আবু্ল হাসেমের পুত্র হাফিজুর রহমান(৩২) কে আটক করেছে।
রামপাল থানার ওসি এস, এম আশরাফুল আলম জানান, আসামিরা মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪ টায় উপজেলার কৈগরদাসকাটি চর এলাকায় নতুন আশ্রায়ন প্রকল্পের পার্শ্বের একটি মৎস্যঘের ঘেরে কিশোর ফয়সাল মাছ চুরি করেছে এমন সন্দেহে তাকে আটকে রাখে। এমন সংবাদের খবর পেয়ে স্হানীয়রা আত্মসমার্পণকৃত বনদস্যু ওলীকে আটক করে। এরপরে ওলীর সহযোগীরা খবর পেয়ে ওলিকে উদ্ধার করতে গিয়ে চরের বাসিন্দাদের মারপিট করে আহত করে। খবর পেয়ে গৌরম্ভা ফাড়ির এসআই নাসির উদ্দিন সংগীয় ফোর্স নিয়ে কিশোরকে উদ্ধার করেন। ওই সময় অভিযান চালিয়ে ৭ জন আসামীকে আটক করেন। আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে বাগেরহাটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এলাকার পরিস্হিতি স্বাবাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে।