নীলফামারীর সৈয়দপুরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। ৩১ মে শহরের কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধের সামনে ওই কর্মসুচি পালন করে বেসরকারি সংস্থা ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর। তামাক নয়, খাদ্য ফলান প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাশের দাবি ছিল মুল লক্ষ্য।
মানববন্ধনে সংস্থাটির কাপ-আপ প্রকল্পের আওতায় শিখন কেন্দ্র “স্বপ্নসিঁড়ি ডাম ইউসিএলসি”র শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রকল্পের কর্মীরা অংশ নেয়।
এ সময় বলা হয়, বাংলাদেশে ৩১ শতাংশ বন উজাড়ের জন্য দায়ী তামাক চাষ। গত অর্থবছরে দেশে ১ লাখ ৩৮৪ একরের বেশি জমিতে ৯২ হাজার ৩২৬ মেট্টিক টন তামাক উৎপাদন হয়েছে। তামাকজাত পণ্য বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, গুল ও হুক্কা ব্যবহারজনিত রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তামাকজাত পণ্যে কর বাড়ালে তামাকের ব্যবহার কমবে, সরকারের রাজস্ব বাড়বে। মানববন্ধনে এ দাবি করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণে’ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের দাবি জানানো হয়। এটি পাশ হলে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের দুর্বলতাগুলো দূর হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সৈয়দপুর ফিল্ড অফিসের মনিটরিং অফিসার নূরে আলম সিদ্দিকী, মাস্টার ট্রেইনার তৌহিদুল ইসলাম পাটওয়ারী, টেকনিক্যাল অফিসার জয়নাল আবেদীন, কালচারাল ইনস্ট্রাক্টর অলিরাজ রেজা, সুপারভাইজার আকাইদ মোল্লা, মিজানুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, শিরিন আক্তার, রুমাসহ অনেকে।
মানববন্ধন শেষে একটি বিশাল র্যালি বের করা হয়। পরে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের একটি প্রতিনিধি দল নীলফামারী জেলা প্রশাসকের নিকট তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী বিষয়ক একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।