নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা। ১৯৫৮ সালে এ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৫ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভাটি। নীলফামারীর জেলা একমাত্র প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হল সৈয়দপুর। নীলফামারী, ডোমার এবং জলঢাকা পৌরসভা এখনো দ্বিতীয় শ্রেণীর পৌরসভা।
সৈয়দপুর পৌরসভার লোকসংখ্যা,ব্যবসা,বাণিজ্য,
শিক্ষা,শিল্প, আয়োতন এবং আয়ের দিক বিবেচনা করে আওয়ামী লীগ সরকার এটিকে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় পরিনত করে।
সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী বলেন, এ পৌরসভায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজন মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। অতীতে দায়িত্বে থাকা মেয়র শহরের কি উন্নয়ন করেছেন তা আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন। আমি যখন মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করি তখন সৈয়দপুর পৌরসভার প্রায় সকল রাস্তা ছিল খানাখন্দে ভরা।
আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথম সৈয়দপুর পৌরসভাকে আলোকিত করি। পৌর কমিউনিটি সেন্টারকে সাজাই। যার ফলে আজ দেশি বিদেশি অতিথিরা এ পৌরসভায় এলে প্রশংসা করে। সুন্দর ছিমছাম পরিবেশ দেখে তারা মুগ্ধ হয়।
এরপর আমি শহরকে ঝকঝকে করেছি। পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা দিনে এবং রাতে শহরকে পরিস্কার রাখতে কাজ করছে। ফলে পৌরসভা এখন আর আগের মত নোংরা নেই। শহরের মধ্যে ৭৫ টি সোলার দৃশ্যমান। যার কারণে রাতের বেলায়ও সৈয়দপুর পৌর এলাকা দিন মনে হয়।
বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তার কাজ হয়েছে। এখনো চলমান রয়েছে ওয়ার্ডের রাস্তার কাজ। তিনি বলেন, শহরের তামান্না হল থেকে ওয়াপদা পর্যন্ত রাস্তার কাজ স্বল্প সময়ে শুরু হবে। শহরের অন্যান্য মহল্লার রাস্তাও সংস্কার করা হবে।
জন্ম নিবন্ধন নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা সহজ করা হয়েছে। পৌর সবজী বাজার আধুনিক করা হয়েছে। যাতে করে পৌরবাসি বাজারে এসে স্বাচ্ছন্দে কেনা কাটা করতে পারে। অতিতে কাঁদা পানিতে দাঁড়িয়ে থেকে বাজার সারতে হত। শহরের নির্দষ্ট স্থানে কসাইখানা বসানো হয়েছে। এখন আর পশু জবাই করা রক্তের দুর্গন্ধ পায় না পৌরবাসি।
শহরে যানজট মুক্ত করতে কাঁচা মালের আড়ৎ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাইপাস মহাসড়কের পাশে।
শহরের ফুটপাত দখল মুক্ত করা হয়েছে। যাতে করে পথচারিরা অনায়াসে চলাচল করতে পারে।
সব মিলিয়ে সৈয়দপুর পৌরসভা এখন একটা নিয়মে চলছে।
তবে কিছু নিন্দুকেরা শুধু সমালোচনা করে। উন্নয়নগুলো মনে হয় তারা দেখেন না। যারা সমালোচনা করে তাদেরকে আমি বলবো,সব উন্নয়ন একেবারে হয় না,করা যায় না। অতিতে কেউ করতে পারেনি। ভবিষৎতে কেউ পারবে বলে মনে হয় না।