পঞ্চগড়ে ঋণ এবং আত্মকর্মসংস্থান বিষয়ক রংপুর বিভাগীয় কর্মশালা অনুুষ্টিত হয়েছে।
এসময় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান বলেছেন, ১৯৮১ এই অধিদপ্তরের জন্ম হওয়ার পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ যুবক ও যুব নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ লাখ নারী-পুরুষ সফল হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ লাখ যুবক ও নারী নিজস্ব উদ্যোগে সফল হয়েছে এবং দশ লাখ নারী পুরুষ অধিদপ্তরের ঋণ নিয়ে সফল হয়েছে। আমরা চাই দেশের যুবক ও যুব নারীরা প্রথমে প্রশিক্ষণ পরে ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হয়ে স্বাবলম্বী হবে। আমি মনে করি প্রশিক্ষিত যুবক ও যুব নারীর ঋণ চাওয়াটা তাদের অধিকার। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের হলরুমে রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ঋণ এবং আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচির মূল্যায়ন ও বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, শুধু ঋণ প্রদান করলেই দায়িত্ব শেষ নয়। ঋণ আদায় সময়মত করা আপনাদের দায়িত্ব। কারন ঋণ খেলাপি বেশি হলে অন্য উদ্যোক্তাদের ঋণ পেতে সমস্যা হবে। রংপুর বিভাগের দশটি উপজেলায় ঋণ আদায়ের অবস্থান ভাল থাকলেও বেশ কিছু উপজেলায় খেলাপি বেশি। তিনি বলেন, ফ্রি ল্যান্সিংয়ে বর্তমান বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ। ভারত প্রথম অবস্থানে রয়েছে। অত্যন্ত জনপ্রিয় ফ্রি-ল্যান্সিং প্রশিক্ষণ মাঠে রয়েছে। ফ্রি ল্যান্সিং প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন মহাপরিচালক।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ) মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিচালক (দারিদ্র বিমোচন ও ঋণ) এ কে এম মফিজুল ইসলাম, পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম প্রমুখ। কর্মশালায় আট জেলার উপ পরিচালক এবং ৪৭টি উপজেলার উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এবং রাজধানী থেকে আগত অডিটরসহ ঋন বিতরণের সাথে যুক্ত ৮০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।
পরে জেলা সদরের গাভী খামার নিয়ে প্রশিক্ষিত যুবক মোয়াকখিরুল অপু ও আব্দুর রহমানের হাতে প্রত্যেককে দুই লাখ টাকার চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজহারুল ইসলাম খান।