পটুয়াখালীর বাউফলের ধুলিয়া ইউনিয়নের ধুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন দখল করে নিয়েছে কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এর ফলে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫শতাধিক শিক্ষার্থী আজ মঙ্গলবার পাঠদান থেকে বঞ্ছিত হয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একই ক্যাম্পাসে ধুলিয়া কলেজিয়েট স্কুল ও ধুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ধুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় কলেজিয়েট স্কুলের গভনির্ংবডির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের জায়গায় একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য অনুমোতি দেন। রেজুলেশন করে এ অনুমোতি দেয়া হয়।কলেজিয়েট স্কুলের সভাপতি ও অধ্যক্ষ সেই রেজুলেশনে স্বাক্ষর করেন। সেই অনুযায়ি সরকারী অর্থায়নে ৪-৫ মাস আগে সেখানে একটি তিন তলা ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে ওই নতুন ভবনে ৫শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান চলে আসছিল।
আজ মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আসার আগ মুহূর্তে কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করেন এবং অবস্থান নেন। এরপর অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকরা এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এরফলে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করতে না পেরে ভবনের নিচতলায় খোলা জায়গায় অবস্থান নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন,তাদের কয়েকজন কোমলমতি শিক্ষাথীদের মারধর করে শ্রেণী কক্ষ থেকে বেড় করে দেয়া হয় এবং তাদের সাথেও উচ্চবাচ্চ ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে ধুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাছুমা আক্তার বলেন,‘কলেজিয়েট স্কুলের কর্তৃপক্ষ রেজুলেশন করে তাদের জায়গায় আমাদের স্কুল করার অনুমোতি দিয়েছেন। আজ বিনা অজুহাতে তারা আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মারধর করে শ্রেণী কক্ষ থেকে বেড় করে দিয়ে বিদ্যালয়ের মূল ফটতে তালা মেরে ভবনটি দখল করে নেয়।’
কলেজিয়েট স্কুলে অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম বলেন,‘সমঝোতার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের অনুমোতি দেয়া হয়। আমাদের প্রয়োজন হলে তারা তাদের ভবন ব্যবহার করতে দেবেন। আমাদের ৫-৬শ শিক্ষার্থী রয়েছে। জায়গা সংকুলন না হওয়ায় পাঠদানের জন্য আমরা তাদের ভবনটি ব্যবহার করছি। দখল করিনি। তাদের আরও দুটো ভবন আছে। জায়গার সংকট নেই।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতিকুল ইসলাম বলেন,‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থানে ছুটে যাই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
এবিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন বলেন,বিষয়টি জেনেছি অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্ত তাকে ফোনে পাচ্ছিনা। উভয়কে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করবো।