বাগেরহাটে চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায় ৫ আসামী গ্রেফতার

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালির বাড়িতে ডাকাতি মামলার পাঁচ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (০৬ এপ্রিল) গভীর রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার বিষয় স্বীকার করেছেন। তাদের কাছ থেকে ডাকাতি করা ০১টি স্বর্নের চেইন, ০১টি আংটি, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, একটি রেঞ্জ ও একটি কাটার উদ্ধার করেছে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। রবিবার (০৭ এপ্রিল) বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, খুলনা শহরের গøাক্সোর মোড় এলাকার মোঃ দ্বীন ইসলামের ছেলে মোঃ সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল (২৬), বানগাতী-মেটেপোল এলাকার মৃত শহিদ গাজীর ছেলেমোঃ কামাল গাজী (৩৫), নাজিরঘাট এলাকার জবেদ ওরফে খোকন আলী শেখের ছেলে সুমন ওরফে রানা শেখ (৪০) ,খুলনা জেলার রুপসা স্ট্যান্ড এলাকার মালেক গাজীর ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে আলিফ গাজী (২৫) এবং বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার গোয়ালমাঠ এলাকার মৃত অমরীচন্দ্র স্বর্নকারের ছেলে প্রদীপ কুমার স্বর্নকার (৪০)। এদের মধ্যে মোঃ সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল শেখ ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তার সাথে অন্য যারা ছিল তাদের নামও বলেছেন। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে জেলা পুলিশের কয়েকটি চৌকষ দল ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে কাজ করছিল। সেই ধারাবাহিকতায় মোঃ সোহেল আবিদ ইসলাম ওরফে সোহেল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এই ডাকাতির সাথে অন্য যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ডাকাত। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। তারা মূলত দামি বাড়ি দেখে ডাকাতির প্রস্তুতি নিত। এজন্য তারা খুব সতর্ক অবস্থায় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করতেন।
এ বছরের ১০ জানুয়ারি গভীর রাতে কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক গোলাম সুকরানা রব্বানী ওরফে আজাদ বালি ও তার ছোট ভাই কচুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সুলতান আলমের বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও ২২ ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেয় ডাকাত দল। উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় ভীতির সঞ্চার হয়। এরপর থেকে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চুরি-ডাকাতি রোধে রাত জেগে পাহাড়া দেয় এলাকাবাসী।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *