বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যানকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে আ’লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ

পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে আ’লীগের এক অংশের উদ্যোগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাউফল পাবলিক মাঠে এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন,যাকে নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও বাউফল পৌরমেয়র জিয়াউল হক জুয়েল,বীর উত্তম মরহুম শামসুল আলম তালুকদারের ছেলে বিশিষ্ট্য ব্যাবসায়ী হাসিব আলম তালুকদার,উপজেলা আ’লীগের সহ:সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদার,মদনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা,দাশপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন,বগা উইপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান,স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক সফিকুল ইসলাম স্বিপন,ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মৃধাসহ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তরা বলেন,গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের র‌্যালীিতে উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদারকে স্থানীয় এমপি আ স ম ফিরোজের উপস্থিতে সন্তাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তারা এর সুষ্ঠু তদস্ত করে বিচারের দাবী জানান। গত ১৭ মার্চের ঘটনার জন্য আ’লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় নেতৃবৃন্দদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সভা থেকে অনুরোধ করা হয়। বাউফলে আ’লীগের রাজনীতির নতুন ভাবে চলার জন্য নেতৃবেন্দরা দু’হাত উঠিয়ে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ।
উল্লেখ্য,গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাউফল উপজেলা আ’লীগের সভাপতি, সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি ও সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাং এবং পৌরমেয়র জিয়াউল হক জুয়েল পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী দেন। পৌরমেয়র জিয়াউল হক জুয়েল বাউফল সরকারি কলেজ মাঠ,এমপি আ স ম ফিরোজ,ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাং উপজেলা আ’লীগের দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ঘোষনা করেন। ওই দিন সকাল ১০ টার মধ্যে এমপি আ স ম ফিরোজের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শোভাযাত্রার জন্য দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে সমবেত হয়ে শোভাযাত্রা বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অপর দিকে পৌর শহরের মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার একটি শোভাযাত্রা নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে আসলে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন দু’পক্ষের সংঘাত এড়াতে উপজেলা চেয়ারম্যানকে তার শোভাযাত্রাটি দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে না যেয়ে উপজেলা চত্বরে অবস্থানের অনুরোধ করেন। অনুরোধ করা সত্তে¡ও জোর করে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দিলে পুলিশের উপর চড়াউ হয় এবং এক পর্যায় পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করলে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তাদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ফেষ্টুনের সাথে থাকা লাঠির আঘাতে ওসিসহ ৯ পুলিশ আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ এবং পড়ে শর্টগানের ২০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন। এরপরও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মোতালেব হাওলাদার ও তার অনুসারীরা উপজেলা পরিষদ গেট থেকে জনতা ভবনের দিকে যাবার জন্য কিছুদূর এগিয়ে গেলে স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজের অনুসারীরা মোতালেব হাওলাদারকে কুপিয়ে আহত করে।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *