নাটোরে পৃথক দু’টি ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন

নাটোরে অপহরণ ও ধর্ষণ অভিযোগে মোছাঃ হালিমা, মোছাঃ আম্বিয়া, মোছাঃ জেমি, মোঃ নাঈম ও আজবাহার নামের পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম। এ সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর নাটোর সদরের চরতেবারিয়া এলাকার এক কিশোরীকে অপহরণ করে পাবনায় নিয়ে যায় সেখানে মোঃ নাইমের নামের কিশোরের সাথে জোরপূর্ব বিয়ে দেয়। সেখানে মারধর করে ভিক্টিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে ধর্ষণ করে। পরে ১০ ডিসেম্বরে ভিকটিম সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে আসে। পরে ১১ ডিসেম্বর ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। দীর্ঘ আড়াই বছর এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জরিমানার সমুদয় অর্থ আদায় পূর্বক ভিকটিমকে প্রদান করার নির্দেশ দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আনিছুর রহমান জানান, ভিকটিমকে জোরপূর্বক অপহরণ ও পতিতালয়ে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত পাঁচ জনের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। আদালতের রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি।

অপর এক ধর্ষণ মামলায় আনছার আলী নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে একই আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন তিনি। আসামী আনছার আলী সিংড়া উপজেলার কুশাবাড়ি এলাকার তফিজ উদ্দিনের ছেলে। মামলার সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলার কুশাবাড়ি এলাকার জনৈক আনছার আলী ২০০৪ সালের ৯ অক্টোবর রাতে জোরপূর্বক এক নারীকে তার বাড়িতে চাকু দেখিয়ে ধর্ষন করে। পরে ১৩ অক্টোবর ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে সিংড়া থানায় হাজির হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আনছার আলীর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ আঠার বছর পর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *