ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ১২ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

বিভাগসমূহ

নীলফামারীতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তথ্য চাইতে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মী অপমানিত

ওবায়দুল ইসলাম নীলফামারী ঃ || ১০:০৬ অপরাহ্ণ ॥ মার্চ ৩০, ২০২৩

নীলফামারী সদর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে তথ্য চাইতে গিয়ে অপমানিত হয়েছেন এক গণমাধ্যমকর্মী। শিক্ষক কর্তৃক ওই গণমাধ্যমকর্মী অপমানিতের ঘটনা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না জেলার সাংবাদিকরা। দ্রুত সময়ে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে বহুল প্রচারিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুকে। এরপরও ওই শিক্ষক রয়েছেন বহাল তবিয়তে।
সাধারণত সংবাদকর্মীরা স্বেচ্ছাশ্রমে সমাজের অসঙ্গতি গুলো তুলে ধরে সরকারকে সহযোগিতা করে থাকে। অনিয়ম দুর্নীতিবাজরা নিজের স্বার্থে সরকারকে ফাঁকি দিয়ে অপরাধমুলক কর্মকান্ড করে থাকে। তাইতো সাংবাদিকরা তাদের কাছে একটা আতংক স্বরুপ।
ওইদিও সাংবাদিক কিছু অনিয়মের তথ্য জানতে গিয়েছিল সদর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। কিন্তু অফিস কর্তা সাংবাদিককে কোন তথ্য না দিয়ে উল্টো অপমানিত করে। যা মেনে নেয়ার নয়। একজন শিক্ষিত লোক হয়ে আরেকজনকে ষপমানিত করা কোন ভদ্র লোকের কাজ নয়। এটি অত্যন্ত ঘৃনিত ও নিন্দনীয় কাজ।
এটি ঘটে ২৮ মার্চ সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। ওই সাংবাদিক তথ্য চেয়েছিল ২০২২-২৩ অর্থবছরের মাইনর মেরামত কাজের নির্বাচিত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা। কিন্তু তথ্য না দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীর উপর চড়াও হন তিনি। এক পর্যায় অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করা হয় সাংবাদিককে।
টুপামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মানিক কোথা থেকে এত সাহস পেলো তা জানতে চায় সাংবাদিকরা। তাছাড়া তিনি স্কুল ফাঁকি দিয়ে সেদিন কি করছিলেন সদর অফিসে। এটির তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, সাইফুল ইসলাম মানিক টুপামারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী করে। তবে তাকে বেশিরভাগ সময় সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে দেখা যায়।
যে সাংবাদিককে তিনি অপমানিত করেছেন ওই সাংবাদিক একজন ভাল লেখক। নম্র এবং ভদ্র মানুষ। তিনি দায়িত্ব পালনে সেদিন ওই অফিসে যান। ভদ্রভাবে নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলেন।
আর বহিরাগত ওই শিক্ষক সাইফুল ইসলাম মানিক তাকে অপমানিত করেন। ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়টি জানানো হয় সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ এনামুল হককে। তিনি বলেন ওই শিক্ষক আমার অফিসের কেউ না। সুতারাং তার বিরুদ্দে আমি কোন ব্যবস্থা নিতে পারছি না। আর কেন তিনি আমার অফিসে বসে আছেন তাও আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নবেজ উদ্দিন সরকার বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা তথ্য চাইতেই পারে। একজন সহকারী শিক্ষক হয়ে তার এ ধরনের অমানবিক আচরণ করা উচিৎ হয়নি। আমি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নীলফামারী জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি সাংবাদিক ওবায়দুল ইসলাম বলেন,সাংবাদিকের সাথে একজন শিক্ষকের এমন আচরণ নিন্দনীয়। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

সম্পাদক ও প্রকাশক

মো: আক্কাছ আলী

বার্তা অফিস: ময়মনসিংহ, ভালুকা

ওয়েবসাইট: www.prothomdesh.com

ইমেইল: prothomdeshbd@gmail.com

উপদেষ্টা সম্পাদক

শিকান্দার ফয়েজ

বার্তা অফিস: হাউজ নং: ১৩৫, শ্যামলাসী, টোটালিয়া পাড়া, সাভার ঢাকা

ওয়েবসাইট: www.prothomdesh.com

ইমেইল: prothomdeshbd@gmail.com