বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি || ৪:২২ অপরাহ্ণ ॥ মার্চ ২১, ২০২৩
পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের উপর হামলার প্রতিবাদে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এবিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও ও আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে বাউফল পৌরশহরের কাগুজিপুল থেকে শুরু হয়ে বাজার রোড হয়ে ডাক বাংলোর সামনে ইলিশ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এরপর মোতালেব হাওলাদারের উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তালুকদার জাহাঙ্গীর হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা, বাউফল সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান জাহিদ হোসেন, বগা ইউপির চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান,সাহাবুদ্দিন প্রমূখ।
অপরদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি ও সাবেক চীফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপির পক্ষও আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিএনপি- জামায়াতের নৈরাজ্যর নামে পাল্টা কর্মসূচির ঘোষনা দিলেও তা পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে পরিবর্তন করে আগামীকাল বুধবার (২২ মার্চ) নির্ধারণ করা হয়েছে। এঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ৩০০জনকে আসামী করে পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেন।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন বলেন,‘ সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত রাখতে বিপুল সংখ্যক র্যাব ও পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ, গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আওয়ামীলীগের তিনপক্ষ পৃথক পৃথক কর্মসূচী ঘোষণা করেন। সংঘাত এড়াতে উপজেলা প্রশাসন তিন পক্ষকে ভিন্ন ভিন্ন সময় বেধে দেয়। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের র্যালী হাইস্কুল মাঠ থেকে শুরু করেন। র্যালীটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা চেয়ারম্যান অপর পক্ষের কর্মসূচি স্থল জনতা ভবনে যেতে চান। দুপক্ষের সংঘাত এড়াতে ইউএনও ও ওসিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপজেলা চেয়ারম্যানের র্যালী উপজেলা গেটের সামনে আটকে দেয়। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠে মোতালেব অনুসারীরা। লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে হামলা করে পুলিশের ওপর। হামলায় ওসিসহ ৮পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও পরে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। ফলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মোতালেব হাওলাদারের অনুসারীরা। এর পরেও উপজেলা চেয়ারম্যান কিছু লোকজন নিয়ে প্রশাসনের বাঁধা উপেক্ষা করে আ’লীগের দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুরানো বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এমপির পক্ষের অনুসারীদের সাথে সংর্ঘষ বাধে। এতে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন আহত হয়।