নীলফামারীর সৈয়দপুরে মরা গাছের নীচ দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে পথচারিসহ ছোট বড় হাজার হাজার যানবাহন। প্রতিদিন ওই পথ দিয়ে বিমানের যাত্রি, সুনামধন্য চার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এবং পথচারি চলাচল করে থাকে। দীর্ঘদিন থেকে শহীদ ক্যাপ্টেন মৃধা শামসুল হুদা সড়কের দুই পাশে বেশ কয়েকটি সরকারী গাছ মৃত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকলেও কর্তৃপক্ষের যেন কোন মাথা ব্যথা নেই। অথচ যে কোন সময় ওই মৃত গাছগুলো ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরে নিয়মিত মাইক্রো চালক জনি বলেন,এ পথ দিয়েই বিমানবন্দরে আমি যাতায়াত করি। আমার গাড়ীতে কোন কোন সময় ভিআইপি যাত্রী থাকে। তখন ওই স্থানে এলে ভয় লাগে,না জানি কখন মরা গাছ ভেঙ্গে পড়ে গাড়ীর ওপর। একই কথা বলেন মাইক্রো চালক বিপুল ও পলাশ।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি, সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সবুর আলম বলেন,গাছগুলো অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে গাছগুলো নিয়ে ভাবতে হবে।
সৈয়দপুর পৌরসভা সুত্র জানায়,গাছগুলো পৌর এলাকায় মধ্যে হলেও পৌরসভা কোন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। কারণ রেলওয়ের সাথে পৌরসভার যে চুক্তি আছে তাতে গাছের দায়িত্ব হল রেলওয়ের।
তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হবে দায়িত্বে থাকা কর্তার সাথে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ১৮৭০ সালে রেলওয়ে কারখানাকে ঘিরে শহরের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়। বয়সের ভারে গাছগুলো আজ নড়বড় অবস্থায়। কয়েক বছর থেকে ঝড়ে বেশ কিছু গাছ উপরে পড়ে যায়। কোন কোন গাছের ডালপালা ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে শহরের কোন কোন স্থানে বেশ কয়েকটি গাছ আছে। গাছগুলোর বয়স প্রায় দুইশ বছর পেরিয়ে গেছে। কোন কোন গাছ মরে শুকে গেছে।
আসলে গাছগুলো বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে।
সৈয়দপুর সামাজিক বন বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান,রেলওয়ে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন। বনবিভাগের এখানে কোন করণীয় নেই।
সৈয়দপুর রেলওয়ে উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) মো. শরিফুল ইসলাম জানান,বিপদজনক মরা গাছগুলো কাটার অনুমতি চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পত্র দেয়া হয়েছে। অনুমতি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।