নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রনালয়ের অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে মুলার বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কৃষক জমিতে মুলা বীজ বপণ করে তা সময় মত না গজায় প্রতারিত হয়েছেন এমন অভিযোগ করা হয়। প্রতারণার শিকার কৃষক হাফিজুল ইসলাম (৫৫) প্রতিকার চেয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বীজ ডিলার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মুলা বীজ রোপণের চারা না গজানোর দায় আমার নয়। আমি তাকে ভালো ব্রান্ডের মুলার বীজ দিয়েছি। অভিযোগকারী ওই কৃষক সারের সঠিক ব্যবহার না করার কারণে হয়তো এ ঘটনা ঘটতে পারে।
অভিযোগে জানা যায়, সৈয়দপুর শহরের শাপলা বীজ ও কীটনাশক দোকান থেকে ২ হাজার ৫শ টাকায় ৮শ গ্রাম মুলা বীজ ক্রয় করেন সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়ার মৃত নূর ইসলামের ছেলে হাফিজুল ইসলাম। তিনি এসব বীজ নিজের ৫ বিঘা জমিতে রোপণ করেন। কিন্তু অধিকাংশ মুলার গাছ গজায়নি। প্রতি বিঘা জমিতে মুলা চাষ করতে তার ১৫ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল রায়হান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।