নতুন প্রজন্ম ভুলে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সৈয়দপুরে- নাদিম কাদির

রাজাকারের আস্তানা বাংলাদেশে থাকবে না। এ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে রক্তধারা ৭১ সৈয়দপুর জেলা শাখা আয়োজন করে এক মতবিনিময় সভার। ১১ মার্চ নতুন বাবুপাড়া বি জামান ভবন প্রাঙ্গণে ওই সভার আয়োজন ছিল।
শহীদ পরিবারের সন্তান ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রক্তধারা ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নাদিম কাদির। প্রধান অতিথি বলেন মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা,স্বাধীনতা,শহীদ সন্তান সাথে আরও কিছু ইতিহাস নিয়ে কাজ করছে রক্তধারা ৭১। আমরা কেমন আছি, কোথায় আছি,কিভাবে আছি তা নিয়ে কাজ চলমান। সারা দেশে আমরা শহীদ পরিবার,শহীদ সন্তান,স্বাধীন দেশ,মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধো নিয়ে কথা বলি,কথা বলবো এবং আপনাদের সাথে নিয়ে এগিয়ে যাব। তিনি আরো বলেন, নতুন প্রজন্ম ভুলে যাচ্ছে ইতিহাস। এ ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধো,শহীদ, স্বাধীনতা। তাই এ বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে হবে যারা অর্থলোভী,দলকে ব্যবহার করে টাকা কামায়,দলের লোকের প্রতি যার সম্প্রীতি নেই,তেমন শিক্ষিত নয়। এমন লোককে মনোনয়ন দেয়া যাবে না।
এতে বক্তব্য বলেন, শহীদ পরিবারের সন্তান ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদ, শহীদ পরিবারের সন্তান মিজানুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তান মোনায়মুল হক, পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এম এ করিম মিস্টার,শহীদ পরিবারের সন্তান মন্জুর আলমসহ অনেকে।
শহীদ পরিবারের সন্তানেরা বলেন, আজও আমরা পরাধীনতার কবল থেকে বের হতে পারি নাই। সৈয়দপুরে চিহ্নিত রাজাকারের সন্তানেরা আজও দাপটের সাথে চলে। কটু কথা বলে শহীদ পরিবারের সন্তান নিয়ে। আওয়ামী লীগ দলকে ব্যবহার করে জামাত বিএনপির পক্ষে কাজ করে। সৈয়দপুরে যে সকল আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীর পরিবারে মুক্তিযোদ্ধা নেই। যাদের পরিবার স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয়নি। যারা দলকে ব্যবহার করে নিজ স্বার্থ হাসিল করে চলে। ওই সকল আওয়ামী লীগের নেতারা ওই রাজাকার সন্তানকে সাহস দিয়ে যাচ্ছে। আমরা অপরাধীর বিচার চাই। রাজাকার মুক্ত সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ,কৃষকলীগ,ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠন চাই। দলকে ব্যবহার করে যারা মাদক ব্যবসা করে। অপরাধমুলক কর্মকান্ড করে তাদের দলে থাকা উচিৎ নয় বলে তারা মনে করেন।
বহু তথ্য প্রমান আমরা কেন্দ্রীয় দায়িত্ব শীল নেতাদের কাছে পৌছে দিয়েছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না কোন। কারণ কেন্দ্রীয় কতিপয় নেতার সাথে ওই সকল রাজাকার সন্তানদের গভীর সখ্যতা। দায়িত্ব শীল নেতাদের মাধ্যমে তদন্ত হলে নিশ্চয়ই রাজাকার সন্তানরা দলে স্থান পাবে না।
আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বলেন,সৈয়দপুরে রাজাকার,যুদ্ধাপরাধীর সন্তানরা দলে প্রবেশ করে কি করছে তা প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয় না।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *