জিয়াউর রহমান পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টিকারী-তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। আর শেখ হাসিনা “পার্বত্য শান্তি চুক্তি” সম্পাদনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করে পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখন আর পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে আস্থার সংকট নেই, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি স্থিতি রয়েছে। কিছু কিছু বিচ্ছিন্ন যেসব ঘটনা ঘটছে তা শুধু চাঁদাবাজির জন্য।

শনিবার ১১ মার্চ দুপুরে শহরের সরকারি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ কৃষকলীগ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রæ চৌধুরী অপু বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

কৃষকলীগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমারে হাতে গড়া সংগঠন, দেশের প্রায় সত্তর ভাগ মানুষ কৃষির সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জরিত, কৃষক এবং কৃষি দেশ ও অর্থনীতির প্রাণ উল্ল্যেখ করে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের দৃশ্যমান উন্নয়ন আর দেশের পরিবর্তন বিএনপির পালাতক নেতা তারেক রহমানের সহ্য হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার অন্তর জ¦লছে আর মির্জা ফকরুল বকবক করছে। ১০ ডিসেম্বর মির্জা ফকরুল হুঙ্কার দিয়ে সরকারকে দড়ি ধরে টান দিতে গিয়ে তারা চিৎপটাং হয়ে গেছেন। এরপর দড়ি ধরে টান দিতে গেলে দড়ি ছিঁড়ে হামাগুড়ি দিতে হবে। বর্তমান সরকারের ভিত অনেক গভীরে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আওয়ামীলীগ কৃষক-শ্রমিকের দল। আওয়ামীলীগ রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল। আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দেইনি। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো’।

খাগড়াছড়ি জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক পিন্টু ভট্টচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু। বিশেষ অতিথি হিসেবে, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, সংরক্ষিত নারী সাংসদ বাসন্তী চাকমা, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রæ চৌধুরী অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাবেয়া হক ও জাতীয় কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন বাবুর ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ, কৃষকলীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

পরে, পিন্টু ভট্টচার্য্যকে সভাপতি এবং খোকন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষকলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন, কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *