নীলফামারীর সৈয়দপুরে অগ্নিকান্ডে পুড়ে যায় ৫ পরিবারের সর্বস্ব। তার মধ্যে পুড়ে যায় একদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ইরাম এর বই পত্র।
সামনে ছিল তার পরীক্ষা। তাছাড়া আগুনে সবকিছু পুড়ে যাওয়ায় সে পড়ে চরম বিপাকে। কয়েক বছর পুর্বে মারা যায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা আতাহার হোসেন। মা গুলনাজ বেগম সেলাইয়ের কাজ করে সন্তানের লেখাপড়া ও কষ্টের সংসার চালাতেন।
আগুনে বই পত্র পুড়ে যাওয়ায় সন্তানের লেখাপড়া নিয়ে মা পড়েন বিপদে। টানা পোড়েন সংসারে হঠাৎ করে কোথায় পাবেন বই কেনার টাকা। তাছাড়া আগুন কেড়ে নিয়েছে তার সবকিছু। এমন দুঃশ্চিন্তায় চোখে ঘুম ছিল না ইরামের মায়ের। যখন দুঃশ্চিন্তা তার মাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খেত ঠিক তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল আমাদের প্রিয় সৈয়দপুর নামে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন। ওই সংগঠনের সভাপতি নওশাদ আনসারী বই, খাতা, কলম নিয়ে এগিয়ে এলেন তার পাশে।
৯ মার্চ সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল রায়হান ওই শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দিলেন শিক্ষা সামগ্রী।
এ সময় সাথে ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নওশাদ আনসারী, উপজেলা প্রকৌশলী এস এম আলী রেজা রাজু, সংগঠনের সদস্য সামিউল ও রাজা।
বই সামগ্রী পেয়ে শিক্ষার্থী ইরাম জানায়,আমাকে খুব আনন্দ লাগছে বই পত্র পেয়ে। ভেবেছিলাম বই এর অভাবে মনে হয় আমার পড়াশোনা আর হবে না। কিন্তু সেটি মিথ্যায় পরিনত হল। সে বলেন এখনও সমাজে ভাল মানুষ আছেন। যারা অসহায়দের পাশে এসে দাঁড়ান। সাহায্য সহযোগিতা করেন।