আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত গোটা ফুলবাড়ি

ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে ছোট একটি কবিতা দিয়ে শুরু করছি, বসন্ত এলো যে ধরায়,উদাসী কোকিলের সুর মন ভরায়, কৃষ্ণ চূড়ার রাজপথ সাজে, সঙ্গীতের কলতান কানে বাজে।ভ্রমরায় দল বেঁধে চলে, ফুল ফোটে কাননে,কাননে বৃক্ষে নতুন পত্র- পল্লব জাগে, সবকিছু অপরুপ লাগে।

সেই অপরূপ সাজে সেজেছে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার আম বাগান গুলো আমের মুকুলের সুগন্ধিতে মুখরিত উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের আম বাগান গুলো। মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে পাড়া গায়ের আমের গাছগুলো কি অপরূপ সৌন্দর্য। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এবারে উপজেলায় প্রায় ৪০ হেক্টর জমিতে আম বাগান করা হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য আম চাষিদের সাথে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে প্রতিনিয়ত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এবছর প্রায় ৯০শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে।এতে করে আম বাগান মালিকরা মনে করছেন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় আর আবহাওয়া যদি অনুকুলে থাকে তাহলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন। এক একটি বাগানে নানান ধরনের আম রয়েছে যেমন: ফজলি, আম্রপালি,ল্যাংড়া,হারিভাঙ্গা, মল্লিকা, বারি-৪,দেশি ইত্যাদি।এ অঞ্চলের আম চাষি ও বাগান মালিকরা বাণিজ্যিক ভাবে লাভের আশায় এখন থেকে ভালো ভাবে আম বাগানের পরিচর্যায় মেতে উঠেছে।

উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের আম বাগান চাষি মোহাম্মদ আলী শেখ ও আবুল হোসেন শেখ জানান, দীর্ঘ তিন,চার বছর থেকে প্রায় ২০
বিঘা জমিতে আম্রপালি ও বারি-৪ আমের চাষ করে আসছি গত বছরের চেয়ে এবারে বেশি করে আমের মুকুল এসেছে তাই ভালো ভাবে পরিচর্যা করছি যাতে মুকুল গুলি ঝরে না যায় আশাকরি গতবারের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হতে পারবো।

আম বাগান পরিচর্যা কারি শ্রমিক রফিক মিয়া ও জব্বার আলী জানান, আমের সিজন আসলে আমারা এ বাগানের পরিচর্যা করে থাকি এবারে সব গাছে মুকুল এসেছে সেই জন্য আগে থেকেই আমরা মুকুলে স্প্রে করছি যাতে মুকুল ঝরে না যায়।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, জানান গত বছরের তুলনায় এবছর আমের মুকুল অনেক বেশি এসেছে এই মুকুল গুলি যাতে ঝরে না পরে সেই জন্য আম চাষিদের ছত্রাক নাশক ঔষধ স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তিনিও আশা করছেন বৈরী আবহাওয়া বা বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি না হয় তাহলে এবারে কৃষকরা আমে ভালো লাভবান হবে বলে আমি মনে করছি।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *