রবি শস্য মৌসুমে বগুড়ার কাহালুতে আলু ও সরিষা উত্তোলনে ব্যস্ত চাষিরা। চলতি ইরি বোরো ধান রোপণ করতে জমি থেকে রবি শস্য আবাদ ঘরে তুলতে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষাণ কৃষাণীরা।
সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। বাজারে নতুন সরিষা মান ভেদে ২৩-২৪শ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি রবি শস্য মৌসুমে এবার বগুড়ার কাহালুতে বারি সরিষার ব্যাপক চাষ হয়েছে। বর্তমান বাজারে ভোজ্য তেল সয়াবিন, পামওয়েল ও সরিষা তেলের নিয়ন্ত্রনহীন মুল্য বৃদ্ধি ও রবি শস্য মৌসুমে সরকারের বীজ ও সার প্রণাদনা পাওয়ায় চাষিরা সরিষা চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে ঝুঁকে পড়ায় এবার রবি শস্য মৌসুমে বুক ভরা আশা নিয়ে তাঁরা সরিষা চাষ করেছেন। সরকার ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশিও ভাবে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকদের পর্যাপ্ত পরিমাণে বীজ ও সার প্রণাদনা দিয়েছেন। যার সুফল মিলেছে কৃষকদের । ৮০- ৮৫ দিনের মাথায় পাকা সরিষা ঘরে তোলেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও ১ পৌর সভায় এবার ৭ হাজার ৯ শ হেক্টর জমিতে বারি সরিষা ১৪ হলুদ ফুল ও বারি সরিষা ১৫ সাদা ফুল সহ বিভিন্ন প্রজাতির সরিষা চাষ হয়েছে। যা গত মৌসুমের চেয়ে রেকর্ড রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এছাড়া ৫ হাজার ৫ শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের আশা করছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস। কম খরচে সরিষা চাষে অধিক ফলন ও বাজারে দাম ভালো পাওয়া সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষকদের। তবে চলতি মৌসুমে কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে আলু চাষে কৃষকদের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় এবার আলুর আবাদ কম হয়েছে। কাহালু সদর ইউনিয়নের বুড়ইল গ্রামের কৃষক মোঃ আবুল কাশেম জানান, উন্নত জাতের সরিষা বীজ বোপণ করলে ১ বিঘা জমিতে ৬- ৮ মণ সরিষা ফলন পাওয়া যায়। আমন ধান ঘরে তোলার পর জমিতে রবি শস্য মৌসুমে আলু, সরিষা চাষ করে কৃষকরা একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছে, অন্যদিকে স্বল্প ব্যয়ে জমিতে ইরি বোরো ফসল উৎপাদন করতে পারছে। সেই সাথে রবি শস্য চাষের আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।