খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন ল²ীছড়ি সেনা জোনের অধীনস্থ মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়ন ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গম জনপদ দুইল্যাছড়ি ও বটতলীর গহীন অরণ্যে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার ভোর রাতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন, গুইমারা রিজিয়নের একদল চৌকস সেনাবাহিনী সদস্য টিম। টানা ১০ ঘণ্টার অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদসহ মগ লিবারেশন পার্টির ৫জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। তবে আটক সন্ত্রাসীদের নাম, ঠিকানা (পরিচয়) তাতক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেনি যৌথবাহিনী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, খাগড়াছড়ির গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন ল²ীছড়ি সেনা জোনের অধীনস্থ মানিকছড়ি উপজেলার তিনটহরী ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দুর্গম জনপদ দুইল্যাছড়ির বটতলী গহীন বনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্ঠির চাঁদাবাজি ও সশস্ত্র অবস্থানের গোপন তথ্যে শনিবার ২৫ ফেব্রæয়ারি ভোর সাড়ে ৩টার পর নির্জন জনপদে গুইমারা রিজিয়নের সিন্দুকছড়ি এবং ল²িছড়ি জোনের সেনাবাহিনী ও ফটিকছড়ি থানা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেন। সকাল ১১টার পর নির্জনের একটি বসত ঘরে লুকিয়ে থাকা এবং চৌকির নিচে স্তুপ করে রাখা বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সশস্ত্র সংগঠন মগ লিবারেশন পার্টির ৫জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
সন্ত্রাসী আস্তানা থেকে উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে একে-৪৭-০১টি, মর্টার-০৪টি, পয়েন্ট ২২ মি.মি. রাইফেল-০১টি, এম-১-০১টি, ইউনিফর্ম-৫জোড়া, চায়না পিস্তল-০১টি, এলজি শর্ট ব্যারেল-০১টি, এলজি এ্যামোঃ ৩৬ রাউন্ড, একে-৪৭ এ্যামো-০৭ রাউন্ড, এম-১ এ্যামোঃ-২৪ রাউন্ড, মোবাইল সেট- ০৬টি, ভারতীয় মুদ্রা-১১০ রুপি, ওয়াকিটকি-২টি, বাউন্ডার-০৬টি, মাইন তৈরির সরঞ্জামাদি, ও কাঁচের বোতল-৩৭টি।
পরে দুপুরে আটক সন্ত্রাসী ও উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র মানিকছড়ি সেনা ক্যাম্পে আনা হয়। সেখানে সন্ত্রাসী ও উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদের ছবি ও বিবরণ উপস্থাপন করা হলেও সন্ত্রাসীদের নাম, ঠিকানা নিশ্চিত করতে পারেনি যৌথবাহিনী। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি সিন্দুকছড়ি জোন কমান্ডার লে. কর্নেল সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা পিএসসি, জি। এ বিষয়ে বিকেলে ফটিকছড়ি পুলিশ সন্ত্রাসীর নাম, ঠিকানা নিশ্চিত হয়ে গণমাধ্যমে জানাবেন বলে জানানো হয়।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার বটতলী এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীগোষ্টির অবস্থানের খবরে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাসহ পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।