নড়াইলের নড়াগাতী থানার পাখীমারা গ্রামের সমীর কুমার ভক্ত’র জমি দখল ও দোকান-ঘর উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ উঠেছে নড়াগাতী থানার বল্লাহাটী গ্রামের মোঃ আকবার সিকদার ওরফে ইয়াকুব সিকদার ও তার ছেলে সজ্জল ওরফে আলামিন সিকদার এবং পাখিমারা গ্রামের মৃত কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের ছেলে নির্মল বিশ্বাস পাখিমারা গ্রামের সমীর ভক্তর জমি ও দোকান দখলের চেষ্টা করছেন।
ভুক্তভোগী সমীর কুমার ভক্ত পাখিমারা গ্রামের মৃত সদানন্দ ভক্তের ছেলে।
সমীর কুমার ভক্ত বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে পাখিমারা মোড়ে খগেন্দ্রনাথ মন্ডলের জায়গায় একটি চায়ের দোকান-ঘর করে আসছিলাম। পরবর্তীতে খগেন্দ্রনাথ মন্ডল মারা যাওয়ার পরে ২০০৭ সালে পাখিমারা মৌজার ২৯৭৫ দাগের ১১৪২ আরএস খতিয়ানের খগেন্দ্রনাথের দুই কন্যার অংশ হিসাবে ৭ শতক জমির মধ্যে দুলী রানীর ২ শতক ও বালী রানী ১ শতক জমি কালিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দলিল মূল্যে ক্রয় করি। যার দলিল নাম্বার ১১৮০।
বলাহাটি গ্রামের আকরাম ওরফে (ইয়াকুব) সিকদার গং, কয়েক মাস আগে জমি দখল ও দোকান-ঘর উচ্ছেদের জন্য আসে। আমি তখন নড়াগাতী থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দখল ও উচ্ছেদ করতে পারেনি।
পূনরায় দোকান ভাঙচুর ও রাতের আঁধারে দোকানে আগুন লাগিয়ে জমি দখলের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আমি সংখ্যালঘু হিন্দু স¤প্রদায়ের মানুষ, আমার জমি ও দোকানঘর রক্ষা করতে ভূমি দখলবাজদের বিরূদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আকবার ওরফে ইয়াকুব সিকদার দোকান-ঘর ভাংচুর উচ্ছেদ করে জমি দখলের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে। জমি ক্রয়ের বিষয়ে বলেন, পাখিমারা গ্রামের মৃতঃ কৃষ্ণপদ বিশ্বাস কয়েক বছর পূর্বে বালী রানীর একই দাগ ও খতিয়ানের ২শতক জমি ক্রয় করে। কৃষ্ণপদ বিশ্বাস মারা যাওয়ার পরে তার দুই ছেলে নির্মল বিশ্বাস ও পরিমল বিশ্বাসের কাছ থেকে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর কবলা দলিল মূল্যে ক্রয় করি।
পূর্বের জমির মালিক মৃতঃ খগেন্দ্রনাথ মন্ডলের কন্যা বালী রানী জমি বিক্রয় বিষয় জানান, আমার বাবা দোকান-ঘর করার জন্য সমির ভক্তের বাবা কে ভাড়া দেয়, বাবা মারা যাওয়ার পরে সমীর কুমার ভক্তের কাছে আমি বালী রানী ১শতক ও আমার বোন দুলি রানী বিশ্বাস ২শতক মোট ৩শতক জমি বিক্রয় করি।
আমি কৃষ্ণপদ বিশ্বাসের কাছে কোনো জমি বিক্রি করিনি। তারা মিথ্যা কথা বলছে। তবে পূর্বে রেকর্ডের সময় আমার জমি রেকর্ড করে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে বিভিন্ন কাগজে সই নেয়। আমি মূর্খ,সহজ সরল মানুষ কিছু টের পায়নি। কয়েকমাস আগে আমি জানতে পারি কৃষ্ণপদ আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার সথে প্রতারনা করে ২শতক জমি দলিল করে নিয়েছে। পরে ঐ দলিল বাতিলের জন্য মোকাম বিজ্ঞ আদালত, নড়াইল মৃত কৃষ্ণপদ রেখে যাওয়া দুই ছেলে নির্মল বিশ্বাস, পরিমল বিশ্বাস, প্রবীর কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী বাসন্তী রানী বিশ্বাস ও মোঃ ইকবাল নাম উলেখ করে মামলা করি।