পটুয়াখালীর বাউফলে দশ বছর বয়সী প্রতিবন্ধি মেয়ে শারমিনের হাতে শিকল বেধেঁ ভিক্ষা করেন মা হালিমা বেগম। হালিমা বেগমের বাড়ি উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামে।
হালিমা বেগম বাউফল পৌরশহরের বাজরে তালুকদার মার্কেটে শিকলে বাধা প্রতিবন্ধি মেয়ে শারমিনকে নিয়ে ভিক্ষা করতে এসে প্রতিনিধির নজরে আসেন। তিনি বাউফল বাজার সহ উপজেলার নানা স্থানে প্রতিবন্ধি মেয়ে শারমিন (১০) কে নিয়ে ভিক্ষা করেন। ভিক্ষা করে যা পায় তা দিয়ে কোন রকম তাদের সংসার চলে কিন্ত অর্থের অভাবে মেয়ে শারমিনের চিকিৎসা করাতে পারছে না।
মেয়ে শারমিনকে শিকলে বেধে রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে হালিাম বেগম বলেন,শিকলে বেধে না রাখলে শারমিন এদিক সেদিক দৌড় মারে। যাতে কোন দিকে দৌড়ে না যেতে পারে সে জন্য সব সময় বেধে রাখা হয়। তার স্বামীর নাম আলম। আমি তার ২য় স্ত্রী। ২ মেয়ে আমার। প্রতিবন্ধি শারমিন তার ২য় মেয়ে। স্বামী প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে থাকে। স্বামী আলম ও বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করেন। তাদের কোন খোজ খবর রাখেন না। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা ভাতার সুযোগ থাকলেও প্রতিবন্ধি শারমিন কিংবা হালিমার ভাগ্যে জোটেনি। হালিমা বেগম তার মেয়ের জন্য সরকারি প্রতিবন্ধি ভাতা ছাড়া কিছুই পান না।