বাদী তার দায়ের করা এজাহারে তার নাম না আনলেও পুলিশ হয়রানী করার উদ্দেশ্যে আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগ এনে এফআইআর করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান জ্যোতিষ চন্দ্র রায়।
রোববার বিকেলে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি গজেন চন্দ্র বর্মনের ছেলে সুজন বর্মন আমার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাদের প্রতিবেশি যুবক পলাশ চন্দ্র বর্মন তার কলেজ পড়–য়া ছোট বোনকে হাত ধরে টানাটানি করে বাড়ি থেকে বের করে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পরিবারের সদস্যরা তার হাত থেকে ছোট বোনকে ছাড়িয়ে নিতে চেষ্টা করলে পলাশ চন্দ্র বর্মন তার বোনকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। অভিযোগ পাওয়ার পর আমি বাদী ও বিবাদী পক্ষকে ১ ফেব্রæয়ারি দুপুরে বসার জন্য নোটিশ করি। বিকেলে অভিযোগকারী সুজন চন্দ্র বর্মন মুঠো ফোনে জানান যে তারা বৈঠকে আসবেন না। পরবর্তিতে নিয়ম অনুযায়ী ৮ ফেব্রæয়ারি তারিখ ধার্য্য করা হয়। ১ ফেব্রæয়ারি রাতেই জানতে পারি অভিযোগকারী সুজনের বাবা গজেন চন্দ্র বর্মন আত্মহত্যা করেছেন। এ নিয়ে ওই ব্যাক্তির মেয়ের শ্লীলতাহানীর বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়। গত ৪ ফেব্রæয়ারি সুজন চন্দ্র বর্মন বাদী হয়ে আটোয়ারী থানায় বাবাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা ও পঞ্চগড় সদর থানায় তার বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে আলাদা দু’টি মামলা করেন। মামলার এজাহারে আমার নাম না আনলেও পুলিশ উক্ত মামলা দু’টিতে হয়রানী করার জন্য এফআইআরে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়টি আমাকে জানানো হলে আমি কখনই ওই বিষয়ে সালিশ আহবানের নোটিশ করতাম না। আমার কাছে তাদের অভিযোগ দাখিলের পর ওই বিষয়ে আমার বিন্দুমাত্র গাফিলতি বা অসহযোগিতা ছিল না। তিনি ঘটনাটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সূষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান।