দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে জোড়া খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই জমাজমির বিরোধকে কেন্দ্র করে আবারও এক মহিলাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমেনা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে তারই এক প্রতিপক্ষ।মাত্র কয়েকদিন আগে জমাজমির বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘোড়াঘাটে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। পরবর্তিতে অন্তত ৪০টি বাড়ীতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। ৪ ফেব্রুয়ারী গতকাল শনিবার সকালে উপজেলার বারোপাইকেরগড় গ্রামে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত আমেনা ওই গ্রামের সেকেন্দার আলীর স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার জানান, বাড়ির পাশের দেড় বিঘা জমি নিয়ে প্রতিপ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু মিয়ার সাথে আদালতে মামলা চলছে সেকেন্দার আলীর। তবে বাপ-দাদার আমল থেকেই বিরোধপ‚র্ণ ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছে সেকেন্দার আলী। শনিবার সকালে ওই জমিতে পানি সেচ দিয়ে ধান রোপনের জন্য জমি চাষ করছিলো সেকেন্দারের ছেলে আলামিন। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলো সেকেন্দার আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম।এ সময় তাদের বিরোধী পক্ষ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু মিয়াজমি চাষ করতে বাঁধা দেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন মিন্টু মিয়া প্লাস্টিকের পাইপের মাথায় ধারালো ছুরি বাধা একটি বল্লম নিয়ে এসে এলোপাথাড়ি আমেনাকে ছুরিকাঘাত করে। এতে ঘটনাস্থাালেই আমেনা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থাাানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থাানীয় ঘোড়াঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে। সকাল সাড়ে ৯টায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।কান্না বিজরিত কন্ঠে নিহতের ছেলে আলামিন বলেন, আমি পাওয়ার ট্রিলারের উপর বসে ছিলাম। আর আমার মা কোমর নিচু করে জমি থেকে ইটের খোয়া তুলছিলো। এমন সময় মিন্টু ছুরি নিয়ে এসে আমার মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দেয়।ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থা্যা কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মনিরুজ্জামান মুরাদ বলেন, সকাল সাড়ে ৯টায় নিহত ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থাাানীয়রা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে তার মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে এবং পেটের নিচের অংশে বেশ কয়েকটি ছুরির ক্ষত রয়েছে।
ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আমাদের সব ধরণের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামীদেরকে গ্রেফতারে আমাদের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গত কয়েক মাসে ঘোড়া ঘাট উপজেলায় আইন শৃংখলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটছে।