দিনাজপুর ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র বর্হিভুত প্রতিপক্ষ ছাড়াই তামাশার নির্বাচন করে ঢোল বাজিয়ে নির্বাচিত বলে অপপ্রচার চালানোর প্রতিবাদে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সিনিয়ন সহ-সভাপতি,সাংগঠনিক সম্পাদক,ক্রীড়া সম্পাদক,কার্যকারী সদস্যসহ একযোগে মোট ১৫জন সদস্যের পদত্যাগ পত্র জামা দিয়েছেন ।
বুধবার সকালে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের তামাশা কমিটির দপ্তর সম্পাদকের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলে তিনি গ্রহন করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় ফুলবাড়ী পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি/সম্পাদক বরাবর রেজিস্ট্রি চিঠির মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠানো হয়।
পদত্যাগকারীরা হলেন,ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোঃ মতিউর রহমান মুকুল,ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফিজারুল ইসলাম ভুট্টু, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মোছাঃ রেহেনুমা আক্তার সেতু ,ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের ক্রীড়া সম্পাদক বাদল চন্দ্র প্রামানিক, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক জবাবদিহি প্রতিনিধি মোঃ রাসেদুজ্জামান মন্ডল।,ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডাঃ সোলায়মান মন্ডল,কার্যকারী সদস্য আল মামুন,সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, সদস্য আব্দুল মতিন,সদস্য মোঃ জাহিদ হোসেন,সদস্য মোঃ শামীম কবির চৌধুরী কালাম,সদস্য সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম রিপন,সদস্য মোঃ মশিউর রহমান, সদস্য মোঃ সোহাগ কিবরিয়া ।
সদ্য পদত্যাগকারী সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, আমি ফুলবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ফুলবাড়ীতে সাংবাদিকদের একটি প্লাটফর্ম হবে সেই প্রত্যাশায় সেই সময় ফুলবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাব বিলুপ্ত করে আমরা ফুলবাড়ীর বৃহৎ স্বার্থে গত ৩ বছর আগে ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবে যোগ দেই। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত আমি ছাড়া কোন সদস্য ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র পায়নি। পরে আমরা জানতে পারলাম ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি অমর চাঁদ বাবু প্রায় ৩০ বছর যাবৎ আমাদের চেয়েও চৌখস সিনিয়র সাংবাদিকদের ল্যাং মেরে একই পদে আসিন আছেন। এবারেও তিনি একই কায়দায় পূণঃরায় গঠনতন্ত্রকে বৃদ্ধঙ্গুল দেখিয়ে নির্বাচনের নামে নাটক করেছেন।
সদ্য পদত্যাগকারী সাংগঠনিক সম্পাদক ফিজারুল ইসলাম বলেন, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবে আমি ৩ বছর যাবৎ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলাম। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র আমি দেখতে পাইনি। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের ইচ্ছা মতো রেজুলেশন করে সকল প্রকার বিল পাশ করেন। বিলে সহি করার সময় তার অনুগত কিছু সদস্যদের পরে সহি করে নেন। আমরা কার্যকারী কমিটি যতবার মিটিং করেছি কোন বারেই কোরাম পুরোন হয় নাই। তারপরেও সব কিছু পাশ হয়। এক কথায় প্রায় ৩০ বছর ধরে একই ব্যাক্তি ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি তাকে কেউ বাদ দিতে পারে না। কারন সে কিছু গৃহপালিত সদস্য তৈরী করে রেখেছে। যাদের সাংবাদিক হিসাবে কোথাও কোন পরিচয় নাই, কেউ দেখেও নাই।
উল্লেখ্য যে, ইতি পুর্বে বিভিন্ন অযুহাতে নির্বাচনের পূর্বে নির্বাচনের প্রতিপক্ষ ভেবে আল-আমিন বিন আমজাদ,রাসেল পাভেজ,মোশারফ হোসেন,কমল চন্দ্রকে বহিস্কার করা হয় নোটিস বিহীন তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। যা প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।