নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের ৪ বছরের শিশু আরিয়ান অঝরে কেদেই যাচ্ছে। আবার মায়ের কথা যখন ভুলে যাচ্ছে তখন তার মত শিশুদের সাথে খেলছে। তার বাবা সজল শেখ ঢাকা একটি কোম্পানীতে চাকুরী করেন। তিনি সেখানেই রয়েছেন। এদিকে তার স্ত্রী খাদিজা বেগমকে গত ১৫ জানুয়ারি ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়েছে প্রতিবেশি বখাটে যুবক সৈয়দ শাকিল। মাতা খাদিজাকে না পেয়ে মাঝে মাঝে কেঁদে উঠছে শিশু আরিয়ান। শিশুটির কান্না দেখে এলাকার মানুষেরা খুবই মনকষ্টে আছেন। তবে এ নিয়ে কোন ভাবনা নেই প্রতিবেশি বখাটে শাকিলের বাবা-মায়ের। এদিকে ভুক্তভোগি পরিবারের অভিযোগ শিশু আরিয়ানের মা কে উদ্ধারে পুলিশের কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নেই।
রোববার (২৯ জানুয়ারি) সরজমিন পাচুড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায় শিশু আরিয়ান মনমরা অবস্থায় অন্য শিশুদের সাথে খেলছে। শিশু আরিয়ানের দাদি বিউটি পারভিন ও প্রতিবেশিরা আরোও জানান এলাকার লোকজন বখাটে শাকিলের পরিবারের কাছে গিয়ে শিশু আরিয়ানের কথা বিবেচনা করে তার মাতা খাদিজাকে ফেরত এনে দেয়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা কর্ণপাত করছেন না। আরিয়ানের দাদি আরোও জানান, সারা দিন থেমে থেমে আরিয়ান কান্না করে মায়ের জন্য। আর প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে মায়ের জন্য কান্না শুরু করে,্ অনেক রাত পর্যন্ত কান্নাকাটি করে ক্লান্ত হয়ে একপর্যায়ে ঘুমিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিউটি বেগম লোহাগড়া থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান ভুক্তভোগি পরিবারটি। শাকিলের বাড়িতে গেলে তার বাবা-মা কাউকেই বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিবেশিদের কেউ কেউ বলেন আরিয়ানের মাতা খাদিজা বেগমের চরিত্র মোটেও ভালো না। তাকে কেউ ফুসরিয়ে নেয়নি। সে স্বেচ্ছায় গেছে। লোহাগড়া থানার এসআই শুকুর বলেন, খাদিজা বেগমকে উদ্ধারের জন্য একাধিকবার উভয় পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। তারা ঢাকা আছে। তাদের উদ্ধারে তৎপরতা অব্যহত রয়েছে। তবে বিউটি বেগমের দাবি, নিয়মিত মামলা রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেফতার করলে তিনি ছেলের বউকে ফিরে পেতেন। এ ব্যাপাওে তিনি পুলিশ প্রশাসনের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
,