নড়াইলের কৃতি সন্তান ও সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মোঃ জসিম মোল্যা। সমাজসেবা’র জন্য শুধু নিজ ইউনিয়ন নয়, জেলার সর্বত্র ও সর্বমহলে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। চলতি মাসে তিনি ব্যক্তিগত খরচে মাইজপাড়া বাজারের একটি রাস্তা উন্নয়নের কাজ করে দিয়েছেন। মাইজপাড়া বাজারের পূর্ব পাশের এ গলিপথ বালু ও মাটি দিয়ে উচু করে ইটের সলিং করে দিয়েছেন। এতে প্রায় ৭লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তাঁর এমন মহতি উদ্যোগে বাজারের ব্যবসায়ীরা আনন্দের জোয়ারে ভাসছেন। কারণ দীর্ঘদিন যাবত সংস্কার না হওয়ায় ওই রাস্তাটি অসংখ্য ছোট বড় গর্ত হয়ে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা হয়ে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়তো। তাই দীর্ঘকাল চরম দুর্ভোগে ছিলেন বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরোও বেড়ে যেত। ওই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত ব্যবসায়ীরা পণ্যবাহি ট্রাক,লরি সহ বিভিন্ন যানবাহন আনা নেয়া করেন। সম্প্রতি রাস্তাটি এতোটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে, যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাচল দুস্কর হয়ে পড়েছিল। চেয়ারম্যান জসিম মোল্যা রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও দপ্তরে ছুটাছুটি করেছেন। কিন্তু কোন উপায়ন্তর করতে পারেননি। বাধ্য হয়ে জনদুর্ভোগ লাঘবে সর্বশেষ তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে রাস্তাটি’র উন্নয়ন কাজ করে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় ওই বাজারে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাজারের জরাজীর্ণ রাস্তাটিতে আর কাদা মাটি নেই। কোথাও জলাবদ্ধতা নেই। বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগন জানান, চেয়ারম্যান জসিম মোল্যা ব্যক্তিগত অর্থায়নে এ রাস্তার কাজ করে দীর্ঘদিনের দুঃখ দুর্দশা লাঘোব করেছেন। তাঁর এ অবদানের জন্য বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি গ্রামের বাসিন্দা মোঃ জসিম মোল্যা চেয়ারম্যান হওয়ার পর মাইজপাড়া ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তিনি বিভিন্ন দপ্তর ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিপুল পরিমান বরাদ্দ এনে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অলিগলি ইটের সলিং ও পাকা করণ করেছেন। প্রায় প্রতিটি গ্রামের কবরস্থান, শ্মশান,মন্দির,মসজিদ সহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন। ব্যক্তিগত অর্থায়নে মাইজপাড়া বাজারের রাস্তার কাজ করার বিষয়ে চেয়ারম্যান মোঃ জসিম মোল্যা বলেন, নির্বাচনের পূর্বে তিনি বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগনকে কথা দিয়েছিলেন সবসময় বাজারের ব্যবসায়ী ও জনগনের পাশে থেকে তাদের সেবা দেয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন। সর্বপরি জনস্বার্থে তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বিকার করবেন। সেই কমিটমেন্ট এর জায়গা থেকে তিনি স্বত:স্ফুর্ত ভাবে জনস্বার্থে রাস্তার কাজটি করে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে মাইজপাড়া বাজারের নিরাপত্তা ও চলাচলের সুবিধার্তে বাজারের সর্বত্র আলোকিত করার জন্য লাইটিং করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।