বাউফলে পল্লী বিদ্যুতের ভূতুরে বিল নিয়ে বিপাকে গ্রাহকরা

পটুয়াখালীর বাউফলে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের দেয়া ভূতুরে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ বিলের কাগছে উল্লেখিত মিটার রিডিংয়ের সাথে প্রকৃতভাবে ব্যবহার করা মিটার রিডিংয়ের কোন মিল নেই। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে ভুক্তোভোগীদের। এ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভুক্তোভোগী ব্যবসায়ী ফিরোজ গাজী বলেন, দুই দনি আগে আমার কাছে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ নিয়ে আসেন পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সহকারী মাসুম বিল্লাহ। এ সময় অতিরিক্ত বিলের বিষয়টি আমার নজরে আসে। আমার ছোট একটা মাছের আড়ত আছে, সেটা মাসের অধিকাংশ সময়ই বন্ধ থাকে। তাই বৈদ্যুতিক ফ্যান ও বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন হয় না। মিটার রিডিংয়ের সাথে বিলের কাগজের ৩০ ইউনিট ব্যবধান দেখতে পাই। বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও পরিশোধ করতে হবে ওই অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল। একই অভিযোগ করেন ওই ওয়ার্ডের মুছা ব্যাপরীরও। তিনি বলেন, আমার বিদ্যুৎ বিলের কাগজে লেখা শুন্য ইউনিট। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩৭৮ টাকা। এটা কীভাবে সম্ভব?

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরওয়াডেল গ্রামের আল আমিন বেপারী, নিজাম চৌকিদার,মোসলেম সিকদার, জামাল বেপারী, সবুজ জোমাদ্দার ও খোকন ফরাজীসহ শতাধিক গ্রাহকের মিটার রিডিংয়ে গড়মিল রয়েছে। তারা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা ছোট একটি দ্বীপের খেটে খাওয়া গরীব মানুষ। লেখাপড়া জানিনা বিধায় আমাদেরকে ধোকা দিয়ে এভাবে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাবে এমনটা কখনো ভাবিনি। দিনে এবং রাতের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকেনা। প্রচন্ড গরম সহ্য করে দিনের অধিকাংশ সময় অন্ধকারেই কেটে যায়। তারপরেও এত টাকা বিল আসে কিভাবে?
বাউফল পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সহকারী মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমার কাজ চন্দ্রদ্বীপ এরিয়াতে মিটার রিডিং নেয়া এবং বাউফল অফিস থেকে বিল কাগজ প্রস্তুত করা হলে সেগুলোকে এনে প্রতিটি গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। আমি মিটার রিডিং দেখে সঠিক তথ্য অফিসে জমা দেই, বাকিটা অফিসের কাজ। পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের নামে এমন অভযিোগ উপজলোর অনকে ভুক্তোভোগীদের। গ্রামরে অনকে গ্রাহক আছনে তারা মটিার রডিংিয়রে সাথে বিদ্যুৎ বিল মলিয়িে দখেনে না । যা বলি করে তাই জমা দয়িে থাকনে । তারা পল্লীবিদ্যুৎ অফসি পর্যন্ত যয়েে অভযিোগ দওেয়ারও সাহস নইে ।
এ বিষয়ে বাউফল পল্লী বিদ্যুত জোনাল অফিসের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার(এজিএম) প্রকৌশলী গগন সাহা বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে অনেক মিটার শুন্য অবস্থা থাকে, সেক্ষেত্রে নতুন মিটার প্রয়োজন। আমাদের কাছে কোন মিটার নেই, যে কারনে ইচ্ছে থাকলেও পরিবর্তন করতে পারছি না। তাই পরিবর্তন না করে প্রাক্কলোন বিল করা হচ্ছে। সেক্ষেএে একটু ত্রুটি হতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *