তাহিরপুরে সাকিব হত্যা মামলায় দুই আসামী গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সাকিব হত্যার ঘটনায় জড়িত ঘাগটিয়া গ্রামের বড়ভাই খ্যাত মোশারফ হোসেন ওরফে কালা মোশারফের ছোট ভাই ও মোশারফ বাহিনীর প্রধান সেনাপতি মোশাহিদ তালুকদার(৪৮) ওরফে কালা মোশাহিদকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত ২৯ এপ্রিল সকালে তাহিরপুর থানা পুলিশ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মিরপুরের হোটেল সিটি ইন্টা রেসিডেন্সির ৪০৩ নং কক্ষ থেকে মোশাহিদ ওরফে কালা মোশাহিদকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত কালা মোশাহিদ সাকিব হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ৩নং আসামী এবং বাদাঘাট ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক সে। সে ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত হাজি সাদেক আলী তালুকদারের ছেলে ও তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং ঘাগটিয়া গ্রামের বড়ভাই খ্যাত মোশারফ তালুকদার ওরফে কালা মোশারফের ছোট ভাই।
গত ২৮ এপ্রিল শুক্রবার ভোররাতে তাহিরপুর থানা পুলিশ বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে মোশারফ বাহিনীর প্রধান সেনাপতি কালা মোশাহিদের সহযোগী বুলবুল আহমেদ(৪৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঈুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ এপ্রিল রোজ শনিবার সকালে পুলিশের নিজেস্ব সোর্স ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকার মিরপুরের একটি হোটেল থেকে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি মোশাহিদকে গ্রেপ্তার করার পর রাত ১১টায় তাকে তাহিরপুর থানা নিয়ে আসা হয়।
রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালতের বিঞ্জ বিচারক আসামি মোশাহিদের জামিন না মুঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল রাতে নিরীহ যুবক সাকিবকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সন্ত্রাসী মোশারফের বসত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতন করে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে নৃশংসভাবে হত্যা করে বড়ভাই খ্যাত মোশারফ হোসেন ও তার বাহিনী লোকজন। পরে জজমিয়া নাটক সাজিঁয়ে যুবক সাকিবের লাশ মোশারফ বাহিনীর লোকজন নিজেরাই চিকিৎসার অজুহাতে প্রথম তাহিরপুর হাসপাতালে ও পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে লাশ রেখেই পালিয়ে যায় চক্রটি।
এ ঘটনায় গত ২৫ এপ্রিল রাতে নিহত যুবক সাকিবের পিতা পিতা মো. মুজিবুর মিয়া বাদি হয়ে সন্ত্রাসীদের গডফাদার বড়ভাই খ্যাত কালা মোশারফকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সৈয়দ ইখতিয়ার হোসেন দুইজন আসামী গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারে করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *