টানা মৃদু থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহের দাপট দেখিয়ে মধ্য মাঘে এসে উত্তরের জেলাগুলো থেকে বিদায় নিচ্ছে শীত। বাড়ছে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইতে শুরু করেছে বাতাস। গ্রামাঞ্চলের মানুষের পুরনো ধারণা সূর্যাস্তের সময় উই পোকার ডানা গজিয়ে উড়তে শুরু করলেই বোঝা যায় শীত বিদায় নিচ্ছে। বাস্তবেও এর প্রমাণ মিলেছে।
গত দুইদিন ধরে সন্ধ্যায় উড়ছে উইপোকা। তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। দেশের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ২ ফেব্রæয়ারির পর সর্বনি¤œ তাপমাত্রা কিছুটা কমে গিয়ে শীত অনুভ‚ত হতে পারে।
হিমালয়ের খুব কাছের জেলা পঞ্চগড়ে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শীতের দাপট ছিল বেশি। গত ৫ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ২২ দিন মৃদু থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহের কবলে ছিল পঞ্চগড় জেলা। সেই সাথে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে গিয়ে প্রচন্ড শীত অনুভ‚ত হয়। প্রচন্ড ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়ে পঞ্চগড়ের মানুষ। এরপর থেকে বাড়তে থাকে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। গতকাল রোববার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
তবে গত শনিবার ঘন কুয়াশা ও মেঘের কারণে সারাদিনই দেখা যায়নি সূর্যের মূখ। এ কারণে দিনের বেলাতেও তীব্র শীত অনুভ‚ত হয়। শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে গত শুক্রবার দিনের সর্বেচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার সকালেই পুরো তেজ নিয়ে সূর্যোদয় হওয়ার পর শীত উবে যেতে শুরু করে। দিনের বেলা অনেকে গরমের কারণে ফ্যানের সুইচ অন করে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গতকাল রোববার তেঁতুলিয়ায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে শনিবার সারাদিন রোদ না থাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে গিয়ে রেকর্ড করা হয় ২২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ তাপমাত্রা কাছাকাছি অবস্থান করায় বেশি শীত অনুভ‚ত হয়। তবে এখন থেকে সর্বনি¤œ ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দুটোই বৃদ্ধি পাবে। বিদায় নেবে শীত। তবে ২ ফেব্রæয়ারি থেকে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা কিছুটা আবারও কমে যেতে পারে। #